ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পদ্মার ভাঙনে বিলীন শত ঘর: ত্রাণ নয় বাঁধ চায় স্থানীয়রা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
পদ্মার ভাঙনে বিলীন শত ঘর: ত্রাণ নয় বাঁধ চায় স্থানীয়রা

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার দুই ইউনিয়নে পদ্মার ভাঙনে গত এক মাসে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন বিলীন হয়েছে। ভাঙন আশঙ্কায় রয়েছে আরও প্রায় দু’শতাধিক পরিবার।

স্থানীয়রা ভাঙন রোধে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

কথা হলে স্থানীয়রা বলেন, আমরা ত্রাণ চাই না। আমরা চাই বাঁধ।

এদিকে জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। আর খাদ্য সহায়তা, টিন ও অর্থ দিচ্ছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রশাসন।

সরেজমিন গিয়ে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত এক মাস ধরে পদ্মার ভাঙনে জাজিরা উপজেলার পালেরচর ও বড়কান্দি ইউনিয়নে শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। আরও শত শত পরিবার ঝুঁকিতে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা কেউ অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন, কেউ আবার ভাড়া বাড়িতে উঠেছেন।

সম্প্রতি পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ভাঙন কবলিত পালেরচর ইউনিয়নের কাথুরিয়া এলাকা পরিদর্শনে গেলে স্থানীয়রা স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।

এ বিষয়ে পালেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, গত এক মাস ধরে পালেরচর ইউনিয়নে পদ্মার ভাঙন চলছে। নিয়মিত ভাঙন কবলিতদের খোঁজ-খবর রাখছি। যতটুকু পারছি সহযোগিতা করছি।

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেল বলেন, ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩০টি পরিবারের প্রত্যেককে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।  ৮০টি পরিবারকে দুই হাজার করে টাকা এবং ২৫ পরিবারকে দুই বান্ডিল টিন ও ছয় হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব বলেন, জাজিরা উপজেলার পালেরচর ও বড়কান্দি ইউনিয়নে পদ্মার তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। আগে ফেলানো জিওব্যাগও সরে যাচ্ছে। তবে ভাঙন রোধে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পালেরচর ও বড়কান্দি ইউনিয়নে ভাঙন কবলিত স্থানে দেড়লাখ জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলা হয়েছে। আরও ২৫ হাজার ফেলা হবে। ভাঙনরোধে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেন, আমরা জিওব্যাগ ও জিওটিউব দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছি। নড়িয়ার ১০ কিলোমিটারে এখন আর ভাঙন নেই। টেকসই বাঁধ দেওয়া হয়েছে। আমরা নড়িয়ার মতো জাজিরাকেও সেভাবে টার্গেট করেছি। বন্যা ও নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে চাল, অর্থ ও টিন দিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।