বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোল্লাহাটে নিখোঁজ হওয়ার দুই বছর পর মাটির নিচ থেকে রানা শরিফ (২৫) নামে এক তরুণের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মোল্লাহাট উপজেলার শাসন গ্রামের একটি বাঁশ বাগানের মাটির নিচ থেকে ওই তরুণের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রানা শরিফ উপজেলার শাসন গ্রামের শরিফ আহম্মেদের ছেলে। নিহত রানা শরিফ কখনও ভাড়ায় মোটরসাইকেল আবার কখনো ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালাতেন।
মোল্লাহাট থানা সূত্রে জানা যায়, পাওনা টাকা এবং মাদক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রানা শরিফের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজনের বিরোধ ছিল। ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে মোবাইল ফোনে কল পেয়ে বাড়ি থেকে বের হন রানা। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। ঘটনার দিন বিকেল থেকেই তার ফোন বন্ধ পাচ্ছিল পরিবার। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো সন্ধান না মেলায় এক সপ্তাহ পর মোল্লাহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নিখোঁজ রানার বাবা শরিফ আহম্মেদ। ভিকটিমের ব্যবহৃত ফোন ও সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে মোল্লাহাট থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই এলাকার পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা রানা শরিফকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে বৃহস্পতিবার তাদের দেখানো জায়গা শাসন গ্রামের মামুন শেখ নামে এক ব্যক্তির বাঁশ বাগানের মাটি খুঁড়ে রানার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মামলা দিয়ে আটক পাঁচজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তারা হলেন- শাসন গ্রামের মো. হোসাইন চৌধুরী (৩৯), মো. নাদিম চৌধুরী (৩২), মো. শহিদুল চৌধুরী (৩২), জুয়েল মোল্লা (৩৪) ও রুহুল আমিন (২৭)।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৌমেন দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক পুলিশ পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পাঁচজন রানাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তারা জানান, রানাকে ডেকে নিয়ে প্রথমে কৌশলে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করান। পরে সবাই মিলে তার হাত-পা চেপে ধরে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে লাশ গুম করতে বস্তাবন্দি করে মাটির নিচে পুঁতে রাখেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২
এসআই