ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাদক ব্যবসায়ীর সূত্রে ৮ বছর পর ধরা পড়লেন খুনি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২
মাদক ব্যবসায়ীর সূত্রে ৮ বছর পর ধরা পড়লেন খুনি

ঢাকা: হত্যাকাণ্ডের পর ২০১৪ সাল থেকে নাম-পরিচয় পাল্টে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেছেন। বিভিন্ন পেশা পাল্টে একপর্যায়ে জড়িয়ে পড়েন মাদক ব্যবসায়।

আর এই মাদক ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই দীর্ঘ ৮ বছর পর গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে পলাতক ওই খুনিকে।

২০১৪ সালে রমনা থানা ছাত্রলীগের তৎকালীন সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান ওরফে রানাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অন্যতম প্রধান পলাতক আসামি মো. ইকবাল হোসেন তারেককে (৩৮) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।  

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাব -৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।  

গ্রেফতার তারেককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, তারেক তৎকালীন সুইফ ক্যাবল লিমিটেড নামে ডিস ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। প্রতিষ্ঠানটির মালিক কামরুল ইসলাম ও তানভিরুজ্জামান রনির সঙ্গে নিহত মাহবুবুর রহমান রানার বিরোধ ছিল। বিরোধের জেরে এক পক্ষ আরেক পক্ষের ডিসের ক্যাবল কেটে দিত এবং প্রায়ই মারামারি হতো।

এর জের ধরে ২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মাহবুবুর রহমান রানা মোটরসাইকেলে করে মগবাজার চৌরাস্তা থেকে মসজিদের পাশের গলিতে প্রবেশ করলে তার মুখে ও মাথায় কোপাতে থাকে তারেকসহ অন্যরা। পরে স্থানীয়রা রানাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  
এই কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর মধ্যে ১০ জন গ্রেফতার এবং ৪ জন পলাতক রয়েছেন। পলাতকদের মধ্যে ইকবাল হোসেন তারেক একজন, তার নামে ২০২০ সালে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।  

২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি রানা হত্যাকাণ্ডের পর তারেক প্রথমে পালিয়ে চাঁদপুরের নিজ বাড়িতে চলে যান। চাঁদপুর বাড়ি হলেও তার বেড়ে ওঠা ছিল যশোরে। তাই তাকে না চেনার সুযোগে নিজেকে তাহের হিসেবে পরিচয় দেন। সেখানে চাষাবাদের চেষ্টা করে সুবিধা করতে না পেরে আবার যশোর চলে যান। কিছুদিন পরিবহন শ্রমিক হিসেবে কাজ করার পর মাদক ব্যবসা শুরু করেন তারেক।

২০১৯ সালে আবার ঢাকায় এসে তাহের পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় বসবাস শুরু করেন। গার্মেন্টস থেকে পরিত্যক্ত জিনিস সংগ্রহ করে বিক্রির আড়ালে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন তিনি।  

সবশেষ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে তার প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ধরা পড়েন তারেক।

র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, তারেক মাদকসহ একাধিকবার বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হন। কিন্তু নিজেকে তাহের পরিচয় দিয়ে হত্যা মামলার দায় থেকে বেঁচে যান। তার নামে হত্যা ও মাদকসহ ৪টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২
পিএম/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।