ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খুনের পর খুন, বাস চালিয়ে পথচারী হত্যা, অবশেষে গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২
খুনের পর খুন, বাস চালিয়ে পথচারী হত্যা, অবশেষে গ্রেফতার

ঢাকা: ১০ বছর আগে রাজধানীর শাহ-আলী এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে বাসু মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করেছিলেন আলকেস (৫২) ও তার সহযোগীরা। হত্যা মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ডের রায়ও দিয়েছিলেন আদালত।

মতবিরোধ হওয়ার দুই সহযোগীকেও খুন করেন আলকেস। সিলেটে বেপরোয়া বাস চালিয়ে হত্যা করেন এক পথচারীকে। ডাকাতি-অবৈধ ব্যবসার মতো অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। বিভিন্ন রূপে পরিচয় গোপন করলেও রেহাই পাননি এ অভ্যাসিত অপরাধী। ধরা পড়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৪) হাতে।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বরিশাল মহানগরী থেকে আটক হন বাসু হত্যার মামলার এ আসামি। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।

তিনি জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০১২ সালের ১৪ মে বাসু মিয়াকে গুলি করে হত্যা করেন আলকেস ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় মামলা হয়। ঘটনার তিন মাসের মধ্যে আলকেসসহ মামলার অধিকাংশ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চারমাস পর তারা জামিনে মুক্ত হন। অন্যান্য আসামিরা আদালতে হাজিরা দিলেও আত্মগোপনে চলে যান আলকেস।

হত্যা মামলায় ২০২১ সালে আলকেস ও তার পাঁচ সহযোগীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় দুই আসামিকে। এর মধ্যেই আসামিদের মধ্যে মত বিরোধের ঘটনা ঘটে। পরে বাসু হত্যা মামলার আসামি আসামি আজাহার ও সানুকে হত্যা করেন আলকেস ও তার অন্যান্য সহযোগীরা। এ ঘটনার প্রধান আসামি করা হয় বাসু হত্যায় মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আলকেসকে।

র‌্যাবের উচ্চপদস্থ এ কর্মকর্তা বলেন, আলকেস জামিনে বের হয়ে অবৈধ বালুর ব্যবসা শুরু করেন। এরপর পরিচয় গোপন করে ক্রমাগত পেশা পরিবর্তন করে আসছিলেন তিনি। প্রথমে বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকের কাজের পাশাপাশি ডাকাতি শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি বরিশাল গিয়ে ট্রাকের হেলপার ও পরে ড্রাইভার হিসেবে কাজ শুরু করেন।

সিলেটে বেপরোয়াভাবে চালানের সময় তার বাসের নিচে পড়ে এক ব্যক্তি নিহত হন। এ ঘটনাতেও তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে তিনি পালিয়ে গিয়ে কুয়াকাটা মাছ ধরার ট্রলারে কাজ শুরু করেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি ডাকাতি করতেন বলেও স্বীকার করেছেন।

ডিআইজি মোজাম্মেল বলেন, আলকেস প্রকৃতপক্ষে একজন অভ্যাসিত কুখ্যাত অপরাধী। তিনি সব সময় বাসায় অবস্থান করতেন না। ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নিতেন। ঘটনার পর থেকে তিনি কখনো তার নিজ বাড়িও যাননি। তাকে থানায় হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২
পিএম/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।