ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ভাঙা সেতুতে বাঁশ ফেলে চলাচল!

মো. জাহিদ হাসান জিহাদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২
ভাঙা সেতুতে বাঁশ ফেলে চলাচল!

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবাইল ইউনিয়নের গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের (জিকে) প্রধান খালের ওপর নির্মিত ৭ নম্বর সেতুটির এক প্রান্ত বছর দুই আগে ইট বোঝাই ট্রলির চাপে ভেঙে যায়।  

পরে সে অংশ রড-সিমেন্ট দিয়ে সংস্কার করা হয়।

কিন্তু এরপর আবার বালু বোঝাই ট্রলি পার হতে গেলে একই স্থানে ভেঙে যায়। আর সেই ভাঙা অংশে আটকে যায় ট্রলিটি। এছাড়া সেতুটির আরও এক প্রান্তেও গর্ত সৃষ্টি হয়।

বড় কোনো যানবাহন চলাচল না করলেও সেতুটিতে ভ্যান, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেল, ট্রলিসহ বিভিন্ন ছোট যানবাহন চলাচল করে।

এরই মধ্যে সেতুটিতে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ভারী যানবাহন চলাচলের ওপরে নিষেধাজ্ঞা দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে এ নিষেধাজ্ঞা মানেন না অনেকেই।

গত রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে গোবিন্দগুনিয়া-কাদেরপুর এলাকার এ সেতুর ওপর দিয়ে একটি বালু বোঝাই ট্রলি পার হতে গেলে ভাঙা স্থানে আটকে যায়। সেই সঙ্গে সেতুটির কিছু অংশও ভেঙে পড়ে যায়। এর ফলে কোনো যানবাহনই পার হচ্ছিলো না।

পরে সেতুর ওপর বাঁশ দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয়রা। এখন কোনো মতে মোটরসাইকেল, সাইকেল, ভ্যান, অটোরিকশা চলাচল করতে পারে। তবে সেতুটি দ্রুত নতুনভাবে তৈরির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টম্বর) বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির বেশ কিছু স্থানে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয়রা চলাচল করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মাহাবুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সেতুটি দীর্ঘদিনের পুরোনো হওয়ায় বেশ কয়েক স্থানে ভেঙে গেছে। সরকারিভাবে সেতুটি নতুন করে তৈরি করা জরুরি। তবে গ্রামবাসীকে তো চলাচল করতে হবে, তাই আমরা স্থানীয়ভাবে বাঁশ দিয়ে কোন মতে পারাপারের ব্যবস্থা করেছি।

জাহিদুল ইসলাম নামের আরেকজন বাংলানিউজকে জানান, এ সেতু দিয়ে কাদেরপুর, গেটপাড়া, ধুবাইল এলাকার লোকজন চলাচল করে। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটির সংস্কার হয় না। সেতুটি অনেক পুরোনো, তাই ভারী গাড়িও চলতে পারে  না।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, তাৎক্ষণিকভাবে তো সরকারিভাবে সেতুটি মেরামত সম্ভব নয়। তাই গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য বাঁশ পাতা হয়েছে।

ধুবইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুর রহমান মামুন বাংলানিউজকে জানান, সেতুটি আবার নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নতুনভাবে সেতুটি নির্মাণ হলে আশা করছি কোনো দুর্ভোগ থাকবে না।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি পরিদর্শন করেছি। আশা করছি, শিগগিরই সেতুটি সংস্কার করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।