ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাছের ব্যবসা করছিলেন দণ্ডপ্রাপ্ত চরমপন্থী নেতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২২
মাছের ব্যবসা করছিলেন দণ্ডপ্রাপ্ত চরমপন্থী নেতা

ঢাকা: খুন ও ডাকাতির মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত চরমপন্থী নেতা শুক্কুর আলী ও তার প্রধান সহকারী দিদারকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩। গ্রেফতার শুক্কুর আলী (৫০) পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (লাল পতাকা) তথা সর্বহারা দলের চরমপন্থী নেতা।

অপর আসামি দিদার মিয়া (৪০) শুক্কুর আলীর ভাতিজা ও প্রধান সহকারী।

তারা দুজনই নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি থানার নগর ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ী আদমপুরের একটি বাড়িতে ২০১১ সালে ডাকাতি করতে গিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। পরে ওই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০১৯ সালে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। তারা এতদিন আত্মগোপনে ছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

সম্প্রতি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে শুক্কুর আলী ও দিদাম মিয়া নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করছে। মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফট্যানেন্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

আসামি শুক্কুর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে র‌্যাব-৩ এর সিও বলেন, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সর্বহারা পার্টির চরমপন্থী নেতা শুক্কুর আলী ও তার দল নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি থানার নগর ইউনিয়নের আদমপুর গোয়ালবাড়ী এলাকার একটি বাড়ির দেয়াল ভেঙে ভেতরে ঢুকে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে। ডাকাতির এই ঘটনায় ভুক্তভোগী মনোরঞ্জন সরকারের ছেলে বাধা দিলে তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন শুক্কুর আলী ও তার দলের সদস্যরা।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে দিদার তার চাচা শুক্কুর আলীর প্রধান সহকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করে। এরপর খুনসহ ডাকাতির ঘটনায় খালিয়াজুড়ি থানার একটি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগীর পরিবার। ওই মামলায় শুক্কুর ও দিদার ছিলেন অন্যতম প্রধান আসামি।

তিনি বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৯ সালে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সাজার রায় ঘোষণা করলে আইনের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে শুক্কুর ও দিদার এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। তারা নিজেদের আত্মগোপন করতে নারায়ণগঞ্জে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। সেখানে তারা মাছের ব্যবসা করেছিল।

পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৩ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র‌্যাব-৩ এর সিও।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২২
এসজেএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।