ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়তে শুরু করেছে ভোলার উপকূলের মানুষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়তে শুরু করেছে ভোলার উপকূলের মানুষ

ভোলা: কেটে গেছে ঝড়ের আতঙ্ক। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকেই আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়তে শুরু করেছে উপকূলের মানুষ।

তবে ঝড়ের তাণ্ডবে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘর ও গাছের চাপায় নিহত হয়েছেন তিনজন। এদের মধ্যে ভোলা সদরে একজন, দৌলতখানে একজন ও চরফ্যাশন উপজেলায় একজন রয়েছে।  

নিহতরা হলেন- চরফ্যাশনের হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নের মনির, দৌলতখানের পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিবি খাদিজা ও ভোলা সদরের ধনিঢা ইউনিয়নের মফিজল হক।

এদিকে উপকূলের বাঁধের বাইরের বহু এলাকা জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। ঘরবাড়ি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।  

ক্ষতিগ্রস্ত বিল্লাল হোসেন বলেন, ঝড়ে গাছ পড়ে আমার দুইটি অটোরিকশা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আমর ৩০-৩৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে।

তুলাতলী এলাকার নেকু বিবি ও বিবি ফাতেমা বলেন, ঝড়ে আমাদের ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, আমরা অনেক কষ্টে আছি।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও জেলায় তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি। নেই ঝড়ো বাতাসও। স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে আবহাওয়া পরিস্থিতি। ফলে আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়তে শুরু করেছেন মানুষ।

ধনিয়া তুলাতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন আমিরুন নেছা (৭৫), আছিয়া বেগম (৩৫) ও কুলসুম (২৯)। তারা বলেন, আমরা রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম, এখন চলে যাচ্ছি। আবহাওয়া অনেকটা ভালোর দিকে। তাই পরিবার নিয়ে চলে যাচ্ছি।  

এ ব্যাপারে ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদুর ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, নিহতদের পরিবারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হবে।

এদিকে ঝড়ে জেলায় তিনজনের প্রাণহানি ঘটলেও সম্পদের খুব বেশি ক্ষতি হয়নি বলে মনে করছেন ভোলাবাসী।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।