হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে আটকা পড়া একটি বন বিড়ালকে উদ্ধারের পর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদফতর হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের কর্মীরা বন বিড়ালটিকে অবমুক্ত করেন।
স্থানীয়রা জানান, বন বিড়ালটি বৃহস্পতিবার সকালে চুনারুঘাট উপজেলার কাচুয়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে মোরগ ধরে নেয়। এ সময় এলাকাবাসী এটিকে ধরে রাখেন। পরে স্থানীয় সংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক রাজু বন বিভাগে খবর দেন। তারা গিয়ে বিড়ালটি উদ্ধার করে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে এনে অবমুক্ত করেন।
ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিধফতর হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের ফরেস্টার তোফায়েল আহমদ চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, বিড়ালটির বয়স আনুমানিক সাত মাস হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে সে খাবারের সন্ধানে বনাঞ্চল ছেড়ে লোকালয়ে এসেছিল।
বন বিড়ালের খাবারের বড় অংশ হচ্ছে হচ্ছে ঘাসফড়িং জাতীয় বড় পোকা ও ইঁদুর। যেগুলো আমাদের ক্ষেত-খামারে থাকে এবং ফসলের ক্ষতিসাধন করে। তাই বনবিড়াল গৃহপালিত মুরগি-কবুতর ধরে নিয়ে খেয়ে যতটুকু ক্ষতি করে তার থেকে অনেক বেশি উপকার সাধন করে থাকে পার্শ্ববর্তী কৃষিজমিগুলোর। এরা নিশাচর। গাছের উপর উঠে রাতের আধারে এরা ছোট পাখি বা পাখির ডিম, ছানা প্রভৃতি শিকার করে খায়। এক লাফে কয়েক ফুট পৌঁছে যেতে পারে। দিনের বেলায় এরা লতাপাতাঘেরা বড় গাছের কোটরে ঘুমায় বা তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকে। প্রজনন মৌসুমে গাছের কোটরে দুই থেকে চারটি ছানা প্রসব করে।
তিনি আরও জানান, গ্রামগঞ্জ থেকে প্রাকৃতিক জঙ্গল, জলাভূমিগুলো ধ্বংস হওয়ার কারণে বন বিড়াল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) বনবিড়ালকে ‘ন্যূনতম বিপদগ্রস্থ’ বলে তালিকাভুক্ত করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২২
এসএ