ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

চা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের দাবি

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২২
চা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের দাবি

মৌলভীবাজার: অবিলম্বে চা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ করে পূর্ণাঙ্গ চুক্তি সম্পাদনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন।

রোববার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মৌলভীবাজার পৌর জনমিলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় চা শ্রমিক প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চা শ্রমিকদের প্রাপ্য বকেয়া মজুরি পরিশোধ করে পূর্ণাঙ্গ চুক্তি সম্পাদন করা এবং বাজার দরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ন্যায্য মজুরি বৃদ্ধির লড়াই জোরদারের দাবিকে সামনে রেখে এ সভার আয়োজন করা হয়।  

চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিপ্লব মাদ্রাজি পাশীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক দীপংকর ঘোষের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আহসান হাবিব বুলবুল। আলোচনা করেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মঈনুর রহমান মগনু, আবু জাফর, অ্যাডভোকেট আবুল হাসান, প্রণবজ্যোতি পাল, চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কাজল রায়, লিটন মৃধা, সাংগঠনিক সম্পাদক কিরণ শুক্ল বৈদ্য, অর্থ সম্পাদক প্রেম কুমার পাল, সদস্য দীপচান তেলী, রতন গড়াইত, কেশব তাঁতি, ভরতলাল, গৌড় সবুজ গৌড়, ছাত্র ফ্রন্ট জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দী প্রমুখ।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আহসান হাবিব বুলবুল বলেন, চা শ্রমিকরা ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে ১৯ দিন না খেয়ে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে গেলেন। প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা  শ্রমিকদের সঙ্গে মিটিং করে, ভয় দেখিয়ে এবং মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে নানা কায়দায় শ্রমিকদের আন্দোলন থেকে সড়িয়ে নিয়ে মালিকদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেও শ্রমিকদের অনমনীয় দৃঢ়তার মুখে তাদের সব অপচেষ্টাই ব্যর্থ হয়। পরে বিগত ২৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী চা বাগানের মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ১৭০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করলেন। নির্ধারণের সাড়ে তিন মাস চলে গেলেও মালিকরা নতুন মজুরি অনুযায়ী বকেয়া পরিশোধ না করার জন্য নানাভাবে পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। তাহলে মালিকরা কি প্রধানমন্ত্রীর থেকেও বেশি শক্তিশালী?

তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন বানচাল করার জন্য ডিসি, এসপিসহ প্রশাসন উঠে পড়ে লেগেছিল। তাহলে এখন কেন সেই প্রশাসন শ্রমিকদের প্রাপ্য বকেয়া মজুরি পাইয়ে দিতে উদ্যোগ নিচ্ছে না? এটা দিনের আলোর মত পরিষ্কার যে সরকার শুধু বাগান মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করে। এমন পরিস্থিতিতে চা শ্রমিকদের দালাল নেতৃত্বের বাইরে একটা আপোষহীন বিপ্লবী ধারার ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তুলে আন্দোলন বিকশিত করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২২
বিবিবি/এসএ
 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।