নিউইয়র্ক : গুডউইল ডিপ্লোম্যাসিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সাথে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বৈঠক হতে যাচ্ছে নিউইয়র্কে।
সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় (১টা ৩০ মিনিট) কোপা এয়ারলাইন্সের বিমানে নিউইয়র্ক পৌঁছাবেন রাষ্ট্রপতি ।
জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানাবেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত একে আবদুল মোমেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের এই সফরকে ব্যক্তিগত বলা হলেও ১৯ জুন (বৃহস্পতিবার) তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তর পরির্দশন ও মহাসচিব বান কি মুনের সাথে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামগ্রিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির গুরুত্বকে তুলে ধরবেন তিনি। এছাড়া ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়েও জাতিসংঘ মহাসচিবকে সুস্পষ্ট ধারণা দেবেন রাষ্ট্রপতি ।
“পরিবর্তিত বিশ্ব রাজনীতির বাস্তবতায় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অক্ষুন্ন রাখতে বর্তমান সাংবিধানিক সরকারের স্থায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ” এটিই জানাবেন রাষ্ট্রপতি।
সূত্রমতে, ‘আলোচনার মাধ্যমে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সকলের অংশগ্রহণে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টি’ র বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেবেন রাষ্ট্রপতি হামিদ। আগাম নির্বাচনের যে কোনো পদক্ষেপ আবারো বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করবে বলেও যুক্ত তুলে ধরবেন রাষ্ট্রপতি হামিদ। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনও ‘সহিংসতামুক্ত বাংলাদেশ ’এবং দেশের নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতি সম্পর্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের মুখ থেকে জানতে চাইবেন’।
সূত্রটি আরো জানায় , নতুন একটি আগাম নির্বাচনের ব্যাপারে ঢাকায় যে দূতিয়ালি চলছে ,তা নিতান্তই সংকীর্ণ একটি পরিমণ্ডলের ভাবনা এবং উদ্যোগ। এটা নিয়ে বর্হিবিশ্বের কোনো চাপ নেই, মাথাব্যথারও কারণ নেই, এমন ভাবনা থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বর্হিবিশ্বের কাছে ইতিবাচক ভাবমূর্তিকে তুলে ধরতে চায় । খালেদা জিয়া বা অন্য কোনো মহলের কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে রাজি নন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রেখে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সরকারের চলতি মেয়াদ পূরণ করতে চান তিনি। বিগত দিনের ভুলগুলোকেও শুধরাতে চান সে কারণেই । আর তার জন্য সময় এবং রাজনৈতিক স্থিতি প্রয়োজন। এসব মাথায় রেখেই তার দল ও সরকার এখন গুডউইল ডিপ্লোম্যাসি’তে মনোযোগী হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে আলোচনায় বাংলাদেশ থেকে সামরিক বাহিনীর আরো বেশি সংখ্যক সদস্যকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সম্পৃক্ত করার বিষয়টিও স্থান পাবে বলেও জানায় সূত্রটি।
রাষ্ট্রপতি ১৬ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন। এ সময় কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতি ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত আলাদা দুটি সংবর্ধনাসভায় যোগ দেবেন। ২১ জুন দেশে ফিরবেন রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৪