ঢাকাঃ যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের হরতালে সারা দেয়নি জনতা। যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীকে ফাঁসিতে ঝোলানোর প্রতিবাদে সোমবার ডাকা অর্ধদিবস হরতালে রাজধানী জুড়েই যানজট দেখা গেছে।
মীরপুর কাজী পাড়া, শেওড়াপাড়া, ১০ নাম্বার, ১১ নাম্বার, ১২ নাম্বারে উপচে পড়া গাড়ির ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ২০ মিনিটের রাস্তা পেরুতে সময় লাগছে ঘণ্টার উপর।
অফিস যাত্রী কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ভাই-কাজ করে খাই। কে হরতাল দিলো, কার হরতাল এতো কিছু ভাবি না। সময় মতো মতিঝিল পৌঁছুতে পারবো কিনা সে চিন্তা করছি। রাস্তার যে অবস্থা।
বনানী, কুড়িল বিশ্বরোড, বসুন্ধরা, নতুনবাজার, লিঙ্ক রোড, গুলশান ২, মহাখালীতে যানজটের এই একই দৃশ্য চোখে পড়ে।
ধানমন্ডিতেও গাড়ির উপচে পড় ভিড় দেখা গেছে। অসংখ্য গাড়ি রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। কর্মজীবীরা কেউ কেউ বাস থেকে নেমে হেঁটেই ছুটছেন অফিসের পথে। ধানমন্ডি ২৭ নাম্বারে হতদন্ত হয়ে ছুটছেন এমনই এক বেসরকারি ফার্মের চাকুরে মীর মোশাররফ আলী (৩০)।
মোশাররফ আলী বাংলানিউজকে জানান, মতিঝিলে বাসা আমার, আসতে হয় এখানে (ধানমন্ডি)। মতিঝিল-গুলিস্থান-শাহবাগ হয়ে আসি। হরতাল-তরতাল ভাবার সময় নেই ভাই। সকাল ১০ টায় অফিস ধরতে হবে এটাই কথা। সেখানে জ্যামের কারণে এখানেই সাড়ে দশটা।
বিজয় সরনি, ফার্মগেটেও উপচে পড়া গাড়ির ভিড়। ফার্মগেট মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন মনিরুজ্জামান।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, রাস্তায় গাড়ির চাপ অনেক। কেউ হরতাল মানছে না। গাড়ি পার করে দিতে হিমশিম খাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৬
এএস/জেডএম