ঢাকা: রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মুগদা এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় জনসংযোগ করেছে গণসংহতি আন্দোলন।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টায় রমনা পার্ক, এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রচারপত্র বিলি, পথসভা ও জনসংগযোগ করে দলটি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শ্যামলী সরকার, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আখ্তার এবং বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি সৈকত মল্লিকসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।
জনসংযোগকালে নেতা-কর্মীরা পথচারী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কর্মজীবী, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন এবং প্রচারপত্র বিলি করেন। স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বাজার এবং বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বানে ২৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠেয় মহাসমাবেশের সমর্থনে ঢাকা শহরব্যাপী এ জনসংযোগ কর্মসূচির আয়োজন করছে গণসংহতি আন্দোলন।
স্থানীয় জনসাধারণ সুন্দরবন এবং রামপাল প্রকল্প বিষয়ে জানতে চাইলে প্রশ্নোত্তরে জোনায়েদ সাকি এই প্রকল্পের দূষণ ও তার ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, মারাত্মক দূষণ ও ক্ষতিকর পরিস্থিতির কারণেই ভারতে এই প্রকল্প বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ ভারতের স্বার্থে ভারততোষণকারী বর্তমান মহাজোট সরকার এই প্রকল্প বাংলাদেশে বাস্তবায়নের কাজ করছে।
জোনায়েদ সাকি আরো বলেন, এই প্রকল্পে দূষণ রোধের সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা যদি নেয়া হয় তবুও যে পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড, সালফার অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, মার্কারিসহ বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হবে, কয়লা ওঠানামা করানো, ধোঁয়া বাবদ যে দূষণ হবে, ড্রেজিং করে যেভাবে চ্যানেল তৈরি করা হবে তা সুন্দরবনের মারাত্মক ক্ষতি করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
পিআর/এমজেএফ