রোববার (১৮ জুন) গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির এক জরুরি সভায় রাঙামাটিতে আটকে পড়া এবং সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মানুষদের জন্য অবিলম্বে আকাশপথে ত্রাণ পাঠাবার ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ফিরোজ আহমেদ, আবুল হাসান রুবেল, তাসলিমা আখ্তার, বাচ্চু ভূঁইয়া, মনির উদ্দীন, জুলহাসনাইন বাবু, আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাঙামাটিতে ত্রাণ দিতে হবে, এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলেন, পাহাড়কে রক্ষায় জেলা প্রশাসন কার্যত নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। দুর্গত মানুষকে উদ্ধারেও তারা ব্যর্থ, ব্যর্থ রাঙ্গামাটিতে খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রীর সরবরাহের বন্দোবস্ত করতে। এমন ব্যর্থ জেলা প্রশাসন যারা নিজেরাই ত্রাণের বন্দোবস্ত করতে পারে না, বেসরকারি ত্রাণকেও তাদের মাধ্যমে যেতে বাধ্য করার অর্থ, ত্রাণ কার্যক্রমকে তারা পক্ষপাতদুষ্ট ও অযোগ্য প্রশাসনেরই নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুলের গাড়ি বহরে হামলারও নিন্দা করে গণসংহতি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, এই হামলা নির্লজ্জ, বেপরোয়া এবং সরকার যে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির লেশমাত্র অবশিষ্ট না রাখতে বদ্ধ পরিকর, তারই ইঙ্গিতবাহী। একদিকে সরকার নির্লজ্জভাবে পাহাড়ের বিপন্ন মানুষগুলোর দুর্দশাকে আড়াল করতে চাইছে, আরেকদিকে তাদের পাশে দাঁড়াবার উদ্যোগের ওপরও হামলা পরিচালনা করছে।
একই সাথে গণসংহতি আন্দোলন মনে করে পাহাড়ের স্বাভাবিকতা বিনষ্ট করে বসতি স্থাপন, পাহাড়ের গোড়া কেটে সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ, পাহাড়ের প্রকৃতির সাথে সাযুজ্যহীন আবাদের ফলাফল হলো পাহাড়ে ধস নামা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৭
পিআর/এমজেএফ