রোববার (০৮ অক্টোবর) বিকেলে ইসির সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংলাপে যোগদান শেষে বেরিয়ে আসার পর ইনু সাংবাদিকদের একথা বলেন।
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাসদের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বসেন ইনু।
প্রায় দুই ঘণ্টার সংলাপ শেষে বেরিয়ে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানে যেভাবে আছে সেভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে আমরা কোনো কথা বলিনি। কেননা, এটা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারের বাইরে। এছাড়া সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথাও আমরা বলিনি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায়য় কখনো সেনাবাহিনী ছিল না। তবে ইসি প্রয়োজনে হলে সেনাবাহিনী চাইতে পারে। তাই সেনাবাহিনীকে আলাদা আইনগত কাঠামোর মধ্যে আনার দরকার নেই।
ইনু বলেন, প্রার্থীদের হলফনামা জমাদানের বিধানটি আমরা বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছি। কেননা, প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যে তথ্যগুলো দেওয়া হয়, হলফনামাতেও সেগুলোই ব্যবহার করা হয়। তাই হলফনামার কোনো প্রয়োজন নেই। এটি একটি বাড়তি কাজ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনকালে সংসদ ভেঙ্গে দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পর সরকার হয়ে যায় তত্ত্ববধায়ক সরকার বা সহায়ক সরকার। এ সরকার তখন নির্বাচন কমিশনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে না। এই সরকার মৌলিক কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অন্যতম শরীক দল জাসদের এই শীর্ষ নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশনের বাইরে নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আর কোনো সংলাপের দরকার নেই। আশাকরি, ইসিতে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। আমি মনে করি, আগুন-সন্ত্রাসে না জড়িয়ে সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু জঙ্গী প্রতিরোধযুদ্ধের মধ্যেই আমরা জোটবদ্ধ হয়েছিলাম, সেহেতু এবারও এই যুদ্ধের মধ্যেই জোটে থেকে নির্বাচন করবো। তবে কোন দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবো তা নিয়ে আলোচনার সময় এখনো আসেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৭
জেএম
** দশম সংসদের সীমানায় আগামী নির্বাচন চায় জাসদ