তিনি বলেন, খালেদা রাজাকার-জামায়াতের সঙ্গে আপস করেছে আর শেখ হাসিনা স্বৈরাচারের সঙ্গে। খালেদা জামায়াতের সঙ্গে আপস করে রাজাকারদের মন্ত্রিসভায় বসিয়েছিলো।
বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা শহীদ কমরেড তাজুল দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এমন সমালোচনা করেন তিনি।
১৯৮৪ সালের ১ মার্চ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে কমরেড তাজুল ইসলাম শহীদ হন। তাজুল স্মরণে সকালে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তিভবনের সামনে অস্থায়ী বেদীতে সিপিবিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন ফুল দিয়ে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির এই অবস্থানের বিরুদ্ধে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চার মুলনীতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে সিপিবি। ‘স্বৈরাচার’ এরশাদের সহযোগী মওদুদ আহমদ বিএনপির সেকেন্ড ম্যান। হেফাজতের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি-আওয়ামী লীগ উভয়ই ভিশন ৭১ ভুলে গিয়ে নতুন নতুন ভিশনের কথা বলছে।
বাসদ সভাপতি বলেন, দেশের এই প্রেক্ষাপটে কমরেড তাজুলের সেই আন্দোলন এখনও প্রাসঙ্গিক, যতদিন না মুক্তিযু্দ্ধের মূল চেতনা বাস্তবায়ন হবে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। মুক্তিযুদ্ধের সেই মূল চেতনা চার মূলনীতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বামপন্থিদের সঙ্গে নিয়ে সিপিবি এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং সেটা বাস্তবায়ন করবে।
এ আলোচনা সভায় সিপিবির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, শ্রমিক শোষণ-নির্যাতনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত সাবই এক। শ্রমিকরা যখন তাদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করে তখন গার্মেন্টস মালিক, কারখানার মালিক, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত যেই হোক তাদের আচরণের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। শোষণ-নির্যাতনের ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে ঐক্যমত রয়েছে। এই শোষণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে সিপিবি আন্দোলন অব্যাহত রাখবে।
এর আগে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা কমিটিসহ বিভিন্ন শাখা কমিটি, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, গার্মেন্ট শ্রমিক ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়নসহ বিভিন্ন গণসংগঠন। এছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, গণফোরাম, ঐক্য ন্যাপের পক্ষ থেকেও কমরেড তাজুলের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘন্টা, মার্চ ০১, ২০১৮
এসকে/এসএইচ