ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে এরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৩
অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে এরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে: মির্জা ফখরুল আলোচনাসভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এরা (আওয়ামী লীগ) কিছুতেই যাবে না। অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবে।

 

তিনি বলেন, তারা কথায় কথায় বলে, আজও বলেছে, ‘আমাদের গণতন্ত্র আমাদের মতো করে চলবে। ’ গণতন্ত্র এখন তাদের হয়ে গেছে। এটা কি মুজিববাদের গণতন্ত্র? বাকশালের গণতন্ত্র? একদলীয় শাসনব্যবস্থার গণতন্ত্র? না, এদেশের মানুষ তা কখনো হতে দেবে না।  

রোববার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থানের নায়ক শহীদ আসাদের ৫৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ আসাদ পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ এই সরকার সব স্বপ্ন ভেঙে দিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। দমন-পীড়ন করছে এবং আমাদের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আজকে আমরা আমাদের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি।  

তিনি বলেন, আজ সব দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, আরও ঐক্যবদ্ধ হব। জনগণ আমাদের পথ দেখাবে, কোন পথে গেলে এই দানবকে পরাজিত করতে পারব। এই হলো আমাদের মূল কথা। শুধু বিএনপি নয়, আজ সব রাজনৈতিক দল, আমরা যারা একমত হয়েছি, আমরা শুধু ক্ষমতার জন্য নয়, রাষ্ট্রের কাঠামো পরিবর্তন করতে চাই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার আমাদের দুটি বিষয়কে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। একটি হলো রাজনৈতিক বিষয়, যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আমরা গঠন করতে চেয়েছিলাম, উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। আরেকটি হলো সাম্যের ওপর ভিত্তি করে একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করতে চেয়েছিলাম, সে জায়গায় আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।  

তিনি বলেন, আজ গরিবেরা আরও গরিব হচ্ছে, ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে। আজ আমরা দেখছি, যে মানুষ ছেঁড়া জুতা পড়ে ঘুরত, সে আজকে দামি দামি গাড়িতে চড়ছে। যার মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না, সে আজ তারা বিল্ডিং করেছে। এখান থেকে আমাদের বের হতেই হবে।

ফখরুল বলেন, জনগণের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে একটি কল্যাণমূলক, একটি সমৃদ্ধি রাষ্ট্র গঠন করার জন্য, মানুষের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য আরও বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে এদের পরাজিত করতে হবে। আজ আমরা জাতির স্বার্থে সংগ্রামে নেমেছি।  

তিনি বলেন, যেভাবে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রামে নেমেছি, অবশ্যই এ দেশকে ফ্যাসিবাদের হাত থেকে ভয়াবহ দানবের হাত থেকে মুক্ত করে সত্যিকার অর্থে কল্যাণমূলক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করতে সক্ষম হব।

শহীদ আসাদের স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ আসাদের যে ত্যাগ, শহীদ আসাদের যে আত্মত্যাগ, তার সঙ্গে এই সময়ের সাথে অনেকটা মিল রয়েছে। আসাদ আমাদের কাছে প্রেরণা।

তিনি বলেন, আজ দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এরা সবকিছুর জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করছে। বলছে কোভিডের জন্য দাম বেড়েছে। আরে যে চুরিটা করেছে, সেই চুরিটা বন্ধ করলে তো কমানো যেত। গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। গ্যাস যে চুরি করেছে, তা কমিয়ে আনলে তো দাম কমিয়ে আনা যেত।

শহীদ আসাদ পরিষদের সভাপতি ড. মাহবুব উল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, শহীদ আসাদের ছোট ভাই ডা. এ এম নুরুজ্জামান নূর প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৩

এমএইচ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।