ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ছিলেন নির্লোভ, মিষ্টভাষী ও কর্মীবান্ধব সংগঠক। দুঃসময়ে কীভাবে পর্বতের মতো অটল থাকতে হয়, সেটি তিনি শিখিয়েছেন।
সোমবার (২০ মার্চ) মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ভাষা সৈনিক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে মো. জিল্লুর রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটি।
আলোচনা সভায় স্মৃতিচারণ করে বেগম মতিয়া চৌধুরী আরো বলেন, জিল্লুর ভাই কম কথা বললেও কাজের কথা একটিও বাদ দিতেন না। ১/১১ সময়ে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে সুধাসদন থেকে গ্রপ্তার করা হয়, তখন জিল্লুর ভাই ছিলেন হাইকোর্টে আমাদের একমাত্র ভরসা।
তিনি আরও বলেন, নেত্রীকে গ্রেপ্তার করার দিন আমরা সারারাত টিভির সামনে বসেছিলাম। কী করা যায়, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি। পরদিন সকালে নেত্রীকে যখন কোর্টে নেওয়া হয়, তখন কোর্ট এলাকা লোকে লোকারণ্য ছিল। পরে আদালত যখন তাকে কারা অন্তরীণ করে রাখার আদেশ দেন তখন তিনি জিল্লুর ভাইকে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেন। আইভি শূন্য জীবনেও তিনি দলের জন্য নিরলসভাবে পরিশ্রম করে গেছেন।
জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় এই উপনেতা আরও বলেন, জিল্লুর রহমান যেকোনো সময়ে যেকোনো সংকটে দায়িত্ব নিতে পটু ছিলেন। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তিনি পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ ছিলেন বলেই আজ আমরা তার সম্পর্কে এতো কথা বলছি। এখনো প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই মিটিংয়ে বলেন, 'জিল্লুর চাচা বেঁচে থাকলে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারতেন।
মো. জিল্লুর রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটির সভাপতি এস এ করিমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব লায়ন মশিউর আহমেদের সঞ্চালণায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীহের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাড. নুরুল আমবন রুহুল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাড. বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।
বাংলাদেশ: ১৫২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
এসসি/আরএইচ