ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

‘সামগ্রিক সংকট উত্তরণে রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
‘সামগ্রিক সংকট উত্তরণে রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে হবে’

বরিশাল: ভয়াবহ লোডশেডিং ও দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো বন্ধ করাসহ বিদ্যুৎখাতে দায়মুক্তি আইন বাতিলের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণসংহতি আন্দোলন।

সোমবার (১৯ জুন) সকাল ১০টায় বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটি।



জেলা কমিটির সদস্য সাকিবুল ইসলাম শাফিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বরিশাল জেলা কমিটির সমন্বয়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু।

সভাপতির বক্তব্যে দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু বলেন, সংকট শুধু বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতে সীমাবদ্ধ নেই, দেশের অর্থনীতিতেও রয়েছে। তাই আমাদের সামগ্রিক সংকট উত্তরণে রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে হবে। সরকার ও শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে চুরি ও লুটপাটের দায় নিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।

বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির নির্বাহী সমন্বয়কারী আরিফুর রহমান মিরাজ, সহ-নির্বাহী সমন্বয়কারী জামান কবির, সদস্য জাবের মোহাম্মদ, হাছিব আহমেদ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাইদুল ইসলাম সাকিব প্রমুখ।

এ সময় নেতারা বলেন, বিদ্যুৎ খাতে সরকারের দুর্নীতি ও ভুল নীতির ফলে সারা দেশ আজ ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। এ খাতে সরকারের ভুল পলিসির জন্য দেশে আজ জ্বালানি সংকট তৈরি হয়েছে। সরকার তার দল ও বিশেষ গোষ্ঠী স্বার্থ উদ্ধার করতে ২০১০ সাল থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে কোন দরপত্র করেনি। ফলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সর্বত্র লুটের মাফিয়া গড়ে উঠেছে। আর এ লুটপাটের অর্থের যোগান দিতে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাঁটছে সরকার। সরকার তার গোষ্ঠী স্বার্থ উদ্ধারে দায়মুক্তি আইন করে সকলকে জবাবদিহিতার বাইরে রেখে সব লুটপাটকে বৈধতা দিয়েছে। তাই অবিলম্বে এ দায়মুক্তি আইন বাতিল করতে হবে।

নেতারা বলেন, বৈশ্বিক বাজারে সব খাদ্যশস্যের দাম কমলেও বাংলাদেশের বাজারে দাম কমেনি। সরকার জনগণের জন্য মৌলিক চাহিদা খাদ্য সহজলভ্য করতে ব্যর্থ হয়েছে। ক্রমাগত মূল্যস্ফীতি জনজীবনে দুর্বিষহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ না করে সিন্ডিকেটের হাতে আত্মসমর্পণ করেছে। জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সরকারের কার্যকরী কোনো উদ্যোগ নেই। জনসম্মতিহীন সরকার তার মসনদ রক্ষায় ব্যস্ত থেকে জনস্বার্থকে বিসর্জন দিচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।