ঢাকা: রমনা থানা বিএনপির সভাপতি ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৫৬ নং ওয়ার্ডের কমিশনার চৌধুরী আলমের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন প্রধান বিরোধীদল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা সিটি মেয়র সাদেক হোসেন খোকা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
সাদেক হোসেন খোকা বলেন, “হরতালের আগের দিন রাত ৯টার দিকে ফার্মগেট এলাকা থেকে সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যরা গাড়ি থামিয়ে চৌধুরী আলমকে আটক করে নিয়ে যায়। এ সময় চৌধুরী আলমের গাড়ি চালক অসীমকে বেদম মারধর করা হয়। পরের দিন ২৬ জুন চৌধুরী আলমের গাড়িটি কাওরান বাজারে ওয়াসা ভবনের সামনে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। বর্তমানে গাড়িটি তেজগাঁও থানার হেফাজতে রয়েছে। ”
খোকা অভিযোগ করে বলেন, “এর আগেও তাকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছিল। গত ২০ জুন গুলাশান এলাকা থেকে সাদা পোশাকে কয়েকজন লোক গাড়ি থামিয়ে চৌধুরী আলমকে টেনে হিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামানোর চেষ্টা করে। এ সময় দ্রুত গাড়ি চালিয়ে গুলশান গোলচত্বরে কর্তব্যরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহম্মদ আলীর সহযোগিতা চাইলে তিনি বেলায়েত নামে একজনকে আটক করেন। অবশ্য আটক ব্যক্তি র্যাব গোয়েন্দা শাখার সদস্য হিসেবে নিজের পরিচয় দেয়। ”
এ ব্যাপারে মোহাম্মদ আলী গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন বলেও জানান সিটি মেয়র।
চৌধরী আলমের পরিবার উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে আছে উল্লেখ করে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, “চৌধুরী আলমকে আটক করার পর পরিবারের পক্ষ থেকে তার অবস্থান জানতে এবং থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে বলা হয়, হরতাল উপলক্ষে ধরপাকড় চলছে। হরতাল শেষে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু হরতালের পর তার কোনো হদিস না পাওয়ায় তার পরিবার চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। ”
জনাব খোকা চৌধুরী আলমের অবস্থান দ্রুত জানাতে এবং সেই সঙ্গে তার মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরষ্ট্রমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চৌধুরী আলমের পরিবারের সদস্য এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের কয়েকজন কমিশনার।
এদিকে, চৌধুরী আলমের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিকেলে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ১৩১৫ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১০
এমএম/এজেড/কেএল/জেএম