ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চের গণমিছিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চের গণমিছিল

ঢাকা: যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গণমিছিল করেছে ছয়টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে পল্টন মোড় পর্যন্ত এই গণমিছিল করেন জোটের নেতাকর্মীরা।

এর আগে সরকারের পদত্যাগ, অন্তবর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তি ও সংবিধান সংস্কার করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।

সভাপতির বক্তব্যে জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, টালবাহানা করে লাভ নেই। এই সরকারকে চলে যেতে হবে। এই সরকার ভুয়া। তারা ভুয়া তথ্য প্রচার করার চেষ্টা করে। বিদেশিদের কূটনৈতিক সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছে। এই সরকারের গ্রহণযোগ্যতা তলানিতে ঠেকেছে।

তিনি আরও বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আপনাকে (শেখ হাসিনা) বিদায় নিতে হবে। এটা ছাড়া আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না। এই সরকার থাকলে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এই লড়াই বাঁচার লড়াই, ভাত-কাপড়ের লড়াই, ১৮ কোটি মানুষের লড়াই, গণতন্ত্রের লড়াই।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বাংলাদেশের অবস্থা এখন এমন যে, সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তারাও নিরাপত্তা বোধ করছেন না। একজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমেরিকার দূতাবাসে গিয়ে নিরাপত্তা চাচ্ছেন। তারেক রহমানের নামে মামলা, জোবাইদা রহমানের নামে মামলা, আমাদের অনেকের নামে মিথ্যা মামলা সাজানো হচ্ছে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বিরোধী দলকে মোকাবিলা করার ক্ষমতা এই সরকারের নেই। ড. ইউনূসকে এখন প্রতিপক্ষ বানিয়েছে। রাজনৈতিকভাবে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে পরাজিত করেছে। তাই ড. ইউনূসকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে তাকে কীভাবে শাস্তির আওতায় আনা যায়, সেই চেষ্টা করছে। এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা নিয়মিত মিছিল সমাবেশ করছি এই সরকারের পতনের জন্য। আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করছি এই সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। অবিলম্বে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দি নেতাদের মুক্তি দিতে হবে। এই সরকার বলে বিরোধী দল নির্বাচনে না আসলেও নির্বাচন হবে। তার মানে এই সরকার আবারও পাতানো নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু এদেশে আর ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন হবে না।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, কী পরিমাণ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, নিপীড়ন-নির্যাতন বিরোধী মহলের ওপর হচ্ছে, তা আপনারা জানেন। বর্তমান সরকার এক তরফা নির্বাচন করতে চায়। ক্ষমতার এত লোভ পূর্বে আগে কখনো দেখা যায়নি। আপনারা (সরকার) যতই চেষ্টা করেন, বাংলার মানুষ এক তরফা নির্বাচন মেনে নেবে না। আমরা জীবন দিয়ে হলেও এক তরফা নির্বাচন প্রতিহত করবো।

হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আমরা এই সরকারের পদত্যাগ ও সংবিধান সংস্কারের ভেতর দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলছি। আগামী দুই মাস হোক বা চার মাস হোক, আগামীর বাংলাদেশে আপনারা নেই। আগামীর বাংলাদেশ শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আর পরিচালিত হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৩
এসসি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।