ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদা জিয়াসহ আলেম-ওলামাদের মুক্তির দাবি সমমনা জোটের 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩
খালেদা জিয়াসহ আলেম-ওলামাদের মুক্তির দাবি সমমনা জোটের 

ঢাকা: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে অবিলম্বে একদফা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। অন্যথায় জনগণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করবে।

তখন ক্ষমতাসীনরা পালানোর পথ পাবে না।  

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড় সংলগ্ন আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে একদফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে গণমিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ এ কথা বলেন।  

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের এ সমন্বয়ক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো প্রহসনের নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু জনগণ জেগে উঠেছে, তারা আর এ ধরনের কোনো নির্বাচন হতে দেবে না। সুতরাং এ সরকারকে অবশ্যই ক্ষমতা ছাড়তে হবে।  

ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারতসহ গণতান্ত্রিক বিশ্ব আগামীতে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। এ লক্ষ্যে তারা আজ এক সুরে কথা বলছে। এটাকে আমরা অভিনন্দন জানাই। সুতরাং শেখ হাসিনার অধীনে এদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না।  

তিনি অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাশাপাশি কারাবন্দি আলেম-ওলামাসহ গণতন্ত্রকামী সবার মুক্তি দাবি করেন।  

ড. ফরহাদ বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। জাতীয়তাবাদী সমননা জোট দাবি আদায় ছাড়া রাজপথ ছাড়বে না।  

এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা ও জাগপার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাতের যৌথ সঞ্চালনায় গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এমএন শাওন সাদেকী ও মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারিক, বিকল্পধারার মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, জাগপার কেন্দ্রীয় নেতা ডা. আওলাদ হোসেন শিল্পী, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।

খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, আজ গণতন্ত্র ধ্বংস করে বিএনপিসহ বিরোধী দলের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু হামলা-মামলা, অত্যাচার-নির্যাতন করে লাভ হবে না। এ সরকারকে যেতেই হবে। কারণ এদের পতনের জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আগামীতে আর কোনো নির্বাচন হবে না বলে দাবি করেন তিনি।  

সরকারপ্রধানের উদ্দেশে এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী বলেন, অবিলম্বে গণদাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নইলে একটা পর্যায়ে গিয়ে আপনার পাশে কেউ থাকবে না।  

এম এন শাওন সাদেকী বলেন, ক্ষমতায় থাকতে যতই ছল-চাতুরি করুক না কেন, এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। তাদের অবশ্যই গণদাবি মানতে হবে।

পরে ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে গণমিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে পুনরায় আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৩
টিএ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।