ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘মানবিক বাংলাদেশকে সন্ত্রাসবাদের কাছে সপে দিতে পারি না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
‘মানবিক বাংলাদেশকে সন্ত্রাসবাদের কাছে সপে দিতে পারি না’ বক্তব্য রাখছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

ঢাকা: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, স্বামী বিবেকানন্দের বাণী হচ্ছে বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, মানুষকে সহায়তা করা। মানবিকতা প্রতিষ্ঠার জন্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।

এই মানবিক দেশকে তো আমরা কোনো সন্ত্রাসবাদের কাছে সপে দিতে পারি না। বরং এই মানবিক বাংলাদেশ ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের দেশের প্রতিটি নাগরিকের।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুরে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের শতবর্ষপূর্তির তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভুলে গেলে চলবে না আমাদের পূর্বপুরুষেরা জীবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করে গেছেন। আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন রক্ত দিয়ে হলেও দেশের মানুষের ঋণ পরিশোধ করে যাব। কী শ্রদ্ধাবোধ ছিল মানুষের প্রতি। এই শ্রদ্ধা কী আমরা দেখাতে পেরেছি? তিনি শুধু নন, তার পুরো পরিবার দেশের জন্য জীবন দিয়ে গেছেন। তাই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্য স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শ সঙ্গে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের গুরুত্বারোপ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা যদি মানবতায় বিশ্বাস করে থাকি তাহলে বলবো মানবতা আছে এবং থাকবে। এই ভাবধারার ওপরে দাঁড়িয়ে আমাদের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, বাংলার মানুষের অধিকার চাই। তিনি কিন্তু বলেননি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের অধিকার চাই। এভাবেই একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে সব ধর্ম বর্ণের মানুষ অধিকার নিশ্চিত করে মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ৩০ লাখ শহীদ, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম হারার মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে।

সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন আগে একটি ঘরোয়া আলোচনা হয়েছিল। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল কী হবে বাংলাদেশের। আমি বলেছি কী হবে জানি না। তবে আমাদের হাত থেকে কেউ মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে পারবে না, কেউ ইন্টারনেট কেড়ে নিতে পারবে না। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে ওষুধ কেউ প্রত্যাহার করতে পারবে না। উপবৃত্তি কেউ প্রত্যাহার করতে পারবে না। ঢাকা থেকে (স্থলপথে) দিনাজপুরের পাঁচ ঘণ্টার যে ব্যবধান তা কেউ বাড়াতে পারবে না। এই যে যোগাযোগ ব্যবস্থা-পঞ্চগড় থেকে টেকনাফ পর্যন্ত রেলযোগ কেউ বন্ধ করতে পারবে? ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কেউ বন্ধ করতে পারবে? ফ্লাইওভার বন্ধ করতে পারবে? মেট্রোরেল বন্ধ করতে পারবে? কেউ পারবে না। কারণ, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সেই জায়গায় নিয়ে গেছেন। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর পরে শেখ হাসিনা শুধু বাঙালির কাছে নয় সমগ্র বিশ্বে একজন মানবিক নেত্রী হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারতের আলমোড়ার রামকৃষ্ণ কুটিরের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশানন্দজী মহারাজ।  

স্বাগত বক্তব্য দেন নারায়ণগঞ্জ রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথানন্দ মহারাজ।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনোজ কুমার রায় প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
এসকে/এএটি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।