ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

একদিকে মানুষের পেটে আগুন অন্যদিকে মার্কেটে আগুন: সাইফুল হক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩
একদিকে মানুষের পেটে আগুন অন্যদিকে মার্কেটে আগুন: সাইফুল হক ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: একদিকে মানুষের পেটে আগুন অন্যদিকে মার্কেটে আগুন বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভের আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

সাইফুল হক বলেন, গতকাল রাত তিনটা থেকে মোহাম্মদপুরের মার্কেটে আগুন ধরেছে। আগুন এখন পর্যন্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে নাই। কিছুদিন পর পর মার্কেটগুলোয় আগুন ধরছে। মানুষের সর্বস্ব হারাচ্ছে। একদিকে মানুষের পেটে আগুন, অন্যদিকে মার্কেটে আগুন। এর দায়-দায়িত্ব এই সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।

তিনি বলেন, প্রতিদিন ডেঙ্গুতে দুই থেকে তিন হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। ২০ থেকে ২৫ জন করে মানুষ মারা যাচ্ছে। অথচ ঢাকার দুই মেয়র চীন থেকে নাকি ভেজাল ওষুধ কিনেছেন। যে ওষুধে মশা মরে না। আমি জিজ্ঞেস করতে চাই, এই মেয়রদের কাজটা কি? যে মেয়ররা মশা মারতে পারেন না। যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মশা মারতে পারেন না তাদেরকে কেন রেখে দিতে হবে? অনতিবিলম্বে এই দুই মেয়রকে পদত্যাগ করতে হবে। তারা যদি পদত্যাগ না করে তাহলে তাদেরকে বহিষ্কার করা হোক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী যিনি মাঝেমধ্যে হেসে হেসে কথা বলেন সব দায়-দায়িত্ব তার ওপর, তারও পদত্যাগ আমরা দাবি করছি।

তিনি আরও বলেন, যে সরকার মশা মারার ব্যবস্থা করতে পারে না তারা কীভাবে দেশ চালাবে। কীভাবে দেশের জনগণকে রক্ষা করবে। তাই এই সরকারেরও পদত্যাগ দাবি করছি। গতকাল সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাদ দিয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইন পাস করা হয়েছে। সেই আইনে একটি ধারায় পুলিশ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে, অনুসন্ধান করতে পারবে। কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের আইন হয় না। এই আইনে সাংবাদিকতা ও ব্যক্তির স্বাধীনতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। তাই এই আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সাইবার আইন আপনাকে রক্ষা করতে পারবে না। অতীতের কোনো কালা কানুন স্বৈরাচারী‌কে রক্ষা করতে পারে নাই। আওয়ামী লীগ এক সময় মানুষের ভোট ও ভাতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সে সময় জনগণ তাদের সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী একটা দল হিসেবে মানুষের ভোটের অধিকারের বিরুদ্ধে চলে গেছে। তাই এই সরকারকে অনতিবিলম্বে বিদায় করতে হবে। তারা যদি বিদায় না নেয় দেশের বিরোধী দলগুলো এবং জনগণ রাজপথে আছে তা‌দের বিদায় করার জন্য।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য কবি জামাল সিকদার, সাইফুল ইসলাম, রাশিদা বেগম, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মোশতাক, আনসার আলী দুলাল, আবু হাসান টিপু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩
এনবি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।