ঢাকা, সোমবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ সিদ্ধান্ত: খালেদা জিয়ার আইনজীবী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৩
এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ সিদ্ধান্ত: খালেদা জিয়ার আইনজীবী খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

ঢাকা: বিদেশে চিকিৎসা নিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাইয়ের করা আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের সাড়া না দেওয়াকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী।

রোববার (০১ অক্টোবর) গণমাধ্যমে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এমন মন্তব্য করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

যিনি বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন।

এর আগে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী জানান, আইনের ৪০১ ধারায় কোনো দরখাস্ত যদি একবার নিষ্পত্তি করা হয়, সে নিষ্পত্তিকৃত দরখাস্ত পুনঃবিবেচনা করার কোনো অবকাশ আর আইনে থাকে না।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আজকের  এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হয়েছে দেশে আইনের শাসন নেই। এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভয়ংকর তামাশা করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় স্পষ্টভাবে বলা আছে সরকার চাইলেই তাকে মুক্তি দিতে পারে।

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও দেশ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনে রাজবন্দিদের মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করানোর নজির আছে। কিন্তু আমরা দেখলাম রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ সিদ্ধান্তকে জাতির প্রতি একটি নিকৃষ্টতম প্রতারণা উল্লেখ করে কায়সার কামাল বলেন, আইনমন্ত্রী পাবলিক স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছিলেন যদি খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়, সেটি সুবিবেচনা করা হবে। তার এ পাবলিক স্টেটমেন্টের প্রেক্ষিতে বেগম খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার গত ২৫ সেপ্টেম্বর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সে আবেদনটি আইনগতভাবে বিবেচনা না করে রাজনৈতিকভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফলাফল আমরা আজকের এ সিদ্ধান্তের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি।

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের দণ্ডিত সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি ছিলেন। এরমধ্যে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে পরিবারের সদস্যদের আবেদনে সাজা ছয়মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে সাময়িক সময়ের জন্য মুক্তি দেয় সরকার।  

এরপর খালেদা জিয়া রাজধানীর গুলশান এভিনিউয়ের নিজের বাসভবন ফিরোজায় যান। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ফের মেয়াদ কয়েকবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ১২ সেপ্টেম্বর মেয়াদ বাড়ানো হয়। প্রতিবার একই শর্তে তাকে কারাগারের বাইরে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।  

শর্ত অনুযায়ী, তিনি ঢাকার নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। এর মধ্যে খালেদা জিয়ার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ অবস্থায় তাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিতে চায় পরিবার।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২৩
ইএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।