ঢাকা: বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, নির্বাচন বানচাল করতে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলছে। অসাংবিধানিক যে কার্যক্রমগুলো ঘটছে, এগুলোর বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে সোচ্চার হতে হবে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রয়াত সভাপতি ডা. এস এ মালেকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এই স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, বিরোধী দল হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে। সেগুলো তারা দিতে পারে, সেই রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার অধিকার তাদের আছে। তবে বঙ্গবন্ধু যে সংবিধান আমাদেরকে দিয়ে গেছেন, সেখানে ২২টি মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার আমাদের দেওয়া হয়েছে। আপনাদের যেমন অবরোধ দেওয়ার অধিকার আছে, ঠিক তেমনি আমাদেরও নিশ্চিন্তে চলাফেরার অধিকার আছে। হরতাল অবরোধে অগ্নিসন্ত্রাস একটি অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক, সন্ত্রাসী কার্যক্রম। তাই অসাংবিধানিক যে কার্যক্রমগুলো ঘটছে, এগুলোর বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে সোচ্চার হতে হবে।
প্রয়াত ডা. এস এ মালেক সম্পর্কে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ডা. এস এ মালেক সব সময়ই নিজের সবটুকু দিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ পরিচালনা করেছেন কিন্তু তিনি কখনো পদ পদবির আকাঙ্ক্ষা করেননি। আজকে আমরা সেই মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই মিলনায়তনে একত্রিত হয়েছি। এই শ্রদ্ধা জানানো তখনই সফল হবে যখন আমরা তার সাংগঠনিক ও মানবিক গুণগুলো আমরা ধারণ করতে পারবো।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ ব ম ফারুক, ডা. এস এ মালেকের ছেলে ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আ জ ম শফিউল আলম ভূইয়া ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকুল আরেফিন।
সভায় বক্তারা বলেন, প্রয়াত ডা. এস এ মালেক ছিলেন একজন জ্ঞানের ভাণ্ডার বা নলেজ হাব। তার মেধা ও দক্ষতা দিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি দেশের সেবা করেছেন। তিনি আপাদমস্তক একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতা ছিলেন।
বক্তারা বলেন, বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ডা. এস এ মালেকের অসাধারণ অবদান রয়েছে। তিনি রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনে এবং '৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।
স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আইয়ুবুর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য অজিত কুমার সরকার এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নেসার আহমেদ ভূইয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৩
এইচএমএস/এসআইএস