ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নির্বাচন কমিশন জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে চায়: ১২ দলীয় জোট 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
নির্বাচন কমিশন জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে চায়: ১২ দলীয় জোট 

ঢাকা: অবৈধ তফসিল বাতিল ও নির্বাচন কমিশনকে গণতন্ত্র বিরোধী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দেশের ৯০ ভাগ মানুষকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্বাচন কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সভা-সমাবেশ না করার পক্ষে যে, চিঠি দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ জনগণের ভোটাধিকার ও স্বাধীন মতপ্রকাশের বিরোধিতার শামিল। তবে ১৮ তারিখ থেকে আন্দোলনের কর্মসূচিতে নতুন মাত্রায় যোগ হবে এবং এই সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের আজ্ঞাবহ কমিশন হিসেবে দায়িত্ব যখন নিয়েছেন তখন নিজের কাজ নিজে করুন। জনগণের ভোটাধিকারের ওপর জোর-ধবস্তি চালালে এর পরিনতি খারাপের চেয়েও খারাপ হবে। দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার চায়। দেশের মানুষ গণতন্ত্র ফেরত চায়। দেশের মানুষ তিন বেলা তিন মুঠো ভাত চায়। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার এবং আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে দেখতে চায় না।  

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে অবরোধ সমর্থনে ১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু করে বিজয় নগর ঘুরে পুনরায় পল্টন মোড় এসে শেষ করে। এসময় এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ এসব বলেন।  

বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া করে দিয়েছে। ওরা দরবেশ দাদাকে বসিয়ে শেয়ার বাজার খেয়েছে। আনিসুল হককে বসিয়ে দেশের বিচার বিভাগ খেয়েছে। টিপু মুন্সিকে বসিয়ে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য খেয়েছে। এখন আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন কাজী হাবিবুল আউয়ালকে বসিয়ে দেশের ভোটাধিকার গিলে খেতে চায়! জনগণ এবার খাওয়ার এবং পালাবার সুযোগ দেবে না।  

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, জাতীয় পার্টির( কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ সেলিম মাষ্টার, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ,বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ শামসুদ্দীন পারভেজ।

উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির এম এ বাশার, আব্দুল হাই নোমান, শেখ ফরিদ উদ্দিন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, আসাদুর রহমান খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের আতাউর রহমান খান, এম কাশেম ইসলামাবাদী,বাংলাদেশ লেবার পার্টির হুমায়ুন কবির, শরীফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আবু মোঃ আবু হানিফ, ইউসুফ সুমন,মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু,এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, মিজানুর রহমান পিন্টু, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, জাগপা ছাত্রলীগের শ্যামল চন্দ্র সরকার, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমূখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩

টিএ/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।