ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বাবু হত্যাকাণ্ডের তদন্ত থমকে গেছে : দেলোয়ার

মবিনুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১০
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বাবু হত্যাকাণ্ডের তদন্ত থমকে গেছে : দেলোয়ার

ঢাকা : প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নূর বাবু হত্যাকাণ্ডের তদন্ত থমকে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন।

সোমবার বিকেলে ঢাকা আইনজীবী সমিতির নবনির্মিত টিনশেড ভবনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।



নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নূর বাবুকে নৃশংসভাবে হত্যা ও সিরাজগঞ্জে ট্রেন দিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে ও পুলিশের সামনে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যা করা হলো। একজন আসামি ধরাও হলো। আর কোনো আসামি তারা ধরেনি যদিও ঘটনার পরপর দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং নেতৃবর্গ বলেছেন প্রয়োজনে ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের গ্রেফতার করে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। কিন্তু তারপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর পুলিশের তদন্ত থেমে গেছে। আর কোন আসামি গ্রেফতার করা হচ্ছে না। ’

নাটোরের গামা হত্যা মামলার আসামিদের রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ঘোষণার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একদিকে খুনীদের মুক্ত করে নেবেন, তাদের মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন আবার প্রকাশ্য দিবালোকে যারা খুন করলো তাদের বিচারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবেন, তাহলে আইনের শাসন কোথায়, ন্যায় বিচার কোথায়। ’
 
সিরাজগঞ্জের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জনসভা হওয়ার কথা ছিল ১০ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া মাঠে। কিন্তু সেখানে ছাত্রলীগ-যুবলীগ একই স্থানে প্রোগ্রামের ঘোষণা দেওয়ায় বাধ্য হয়ে ১১ অক্টোবর রেলওয়ে মাঠে বিএনপিকে জনসভা করতে হয়। এখন পরিস্কার রেলচাপা দিয়ে হত্যা করে জনসভা পণ্ড করার জন্যই বিএনপিকে রেলওয়ে মাঠে জনসভা করতে বাধ্য করা হয়। ’

সভা শেষে তিনি আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা ইলিয়াস হোসেন বিন হেলালীর দায়ের করা মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে জামিননামা দাখিল করেন। গত ২২ আগস্ট তিনি এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।
ঢাকা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, অ্যাডভোকেট লুৎফে আলম, মোহসীন মিয়া, গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, বোরহান উদ্দিন, ওমর ফারুক ফারুকী, আব্দুল্লাহ মাহমুদ হাসান প্রমুখ আইনজীবী।

বাংলাদেশ সময় : ১৯১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।