নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমার বড় ভাই সেলিম ওসমানের শরীর প্রায়ই খারাপ থাকে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরে চাষাঢ়া হিরামহল সংলগ্ন মসজিদে এ কে এম সামসুজ্জোহার ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ আয়োজিত দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এ কে এম সামসুজ্জোহা ছিলেন একাধারে আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, গণপরিষদের সদস্য ও স্বাধীনতা পরবর্তী জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম জননেতা খান সাহেব ওসমান আলীও ছিলেন একজন ভাষাসৈনিক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক এমএনএ। ১৯৮৭ সালের এদিনে তিনি ইন্তেকাল করেন।
শামীম ওসমান বলেন, আমি আল্লাহর কাছে ভিক্ষা চাই, আমার পরিবারের যারা চলে গেছেন এবং যারা আছেন তাদের কোনো কাজে যদি আল্লাহ সন্তুষ্ট হন সে কাজের উসিলায় যেন আমাদের রহমত দেন। আমরা যেন মৃত্যুর আগে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে যেতে পারি।
আমার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী ৭ মার্চ। মা বলে গেছেন বাবার সঙ্গেই তার মৃত্যুবার্ষিকী করতে। যাদের মাথার ওপর বাবা-মা আছে তারা যে কত সৌভাগ্যবান সেটা আপনারা জানেন না। মা-বাবা না থাকা যে কত কষ্টের এটা আপনারা বুঝবেন না।
আমার বাবা আমাদের জন্য কিছু রেখে যাননি। চাইলে নারায়ণগঞ্জের অর্ধেকটা কিনতে পারতেন। কিন্তু আমাদের কিছু দিয়ে যাননি। তাই হয়তো আমরা তিন ভাই সংসদ সদস্য হতে পেরেছি। এ আংটিটা আমার বড় ভাই আমার মাকে দিয়েছিল। আমার মা এ আংটিটা দিয়ে বলেছিল নাও এটা। তোমার সঙ্গে আমিও থাকি, নাসিমও থাকবে। সেদিন মা হাসপাতালে। যেহেতু গোগনগর আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আমাকে আসতে হয়েছে নারায়ণগঞ্জ। আমি মাত্র রাইফেল ক্লাবে এসে মেম্বারদের নিয়ে বসেছি, এমন সময় আমার স্ত্রীর ফোন আসে। মা লাইফ সাপোর্টে।
তিনি আরও বলেন, যারা বাবা-মায়ের ছায়াতলে আছেন তারা জানবেন মৃত্যুর সময় আমার মা বলেছেন তার কষ্ট হচ্ছে না, কারণ তিনি চিন্তা করেছেন আমার ছেলে যদি জানে আমার কষ্ট হচ্ছে তাহলে সেও কষ্ট পাবে। এ দুনিয়ায় আমরা এসেছি ভালো থাকতে। আমরা সবাই মিলে সমাজটাকে ভালো রাখতে কাজ করি। আল্লাহ যেন আমাদের তৌফিক দেন।
শামীম ওসমান বলেন, যদি ওমরাহ থেকে ফিরে না আসি ক্ষমা করে দেবেন। আপনাদের পক্ষ থেকে রওজা শরিফে সালাম পৌঁছে দেবো। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
এমআরপি/আরবি