ঢাকা: জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, দেশের আইন-আদালত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ-র্যাব সবকিছু আপনাদের (সরকার) হাতের মুঠোয়, কুক্ষিগত করে রেখেছেন সবকিছু। কোথাও কোনো প্রতিষ্ঠান স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না।
আজকে প্রতিবাদ করলে স্থান হয় অন্ধকার কারাগারে। আর ব্যাংক লুটেরা, দুর্নীতিবাজরা বুক ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কারণ, ক্ষমতাসীনদের ইশারায়ই সারাদেশে লুটপাট হচ্ছে।
শনিবার (৪ মে) নয়াপল্টনস্থ ভাসানী মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদল আয়োজিত সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েল এতে সভাপতিত্ব করেন।
মুন্না বলেন, আজকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সৈনিক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু কারাগারে আবদ্ধ। তার অপরাধ তিনি একজন যোদ্ধা। স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার ও জনগণের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে টুকু আপসহীন যোদ্ধা হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন। সরকার ভয় পেয়ে বিএনপির একের পর নেতাকে কারারুদ্ধ করছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যেমন আপসহীন নেত্রী, তেমনি আমাদের নেতাকর্মীরাও আপস করতে শিখেনি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শতশত ভাই শহীদ হয়েছে। হাজারো নেতাকর্মী পুঙ্গত্ব বরণ করেছে। কিন্তু তাতেও শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা মনোবল হারাননি। যত জেল-জুলুম আসবে তাতে আরও শক্তিশালী হবে আন্দোলনের মাত্রা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী—নেতারা জনগণকে প্রতারিত করে ভাঁওতাবাজির মাধ্যমে মানসিক আশ্রয় খুঁজছেন। এরা রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি লুটপাটসহ মানুষের সহায়—সম্পদ আত্মসাৎ করে গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সরাসরি জনগণকে প্রতারিত করেছে। নিখুঁত ধূর্ততায় জনগণের চোখে ধুলো দিয়ে বিরতিহীন ডাহা মিথ্যার আবর্তে জনগণকে প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম স্বপন, তসলিম আহসান মাসুম ও আবুল হাসান টিটু।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৪
টিএ/জেএইচ