ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মানে গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন: ওবায়দুল কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৪
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মানে গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন: ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মুক্তিযুদ্ধের হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধ ও গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৭ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

 

তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে বিচক্ষণ নেতার নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে গত ৪৪ বছরের ইতিহাসে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে যে পরিবর্তন হয়েছে এ পরিবর্তন রূপান্তরের রূপকার শেখ হাসিনা। তিনি বদলে যাওয়া বাংলাদেশের রূপকার। বঙ্গবন্ধু পয়েট অব পলিটিক্স আর শেখ হাসিনা ম্যাজিক অব পলিটিক্স। যে উন্নয়ন ও অর্জন তিনি করেছেন তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে আমি বলবো মুক্তিযুদ্ধের হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধের প্রত্যাবর্তন। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মানে নিষিদ্ধ বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন। ১৭ মে স্বাধীনতার আদর্শের প্রত্যাবর্তন। আমাদের গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন যে গণতন্ত্রকে শেখ হাসিনা লড়াই করে, সংগ্রাম করে শৃঙ্খল মুক্ত করেছেন।

দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তার কথা, তার নির্দেশনা আমাদের মেনে চলতে হবে। তার নির্দেশনার বাইরে কেউ যেন আমরা কোনো অপকর্ম না করি। অপকর্ম যারা করেন তারা শুদ্ধ হয়ে যান। মনে করেন চুপচাপ আছেন, কেউ শাস্তি পাচ্ছেন না। শাস্তি পাবেন। গত নির্বাচনে ৭৫ জন এমপি মনোনয়ন পাননি। কাজেই শাস্তি দেওয়ার অনেক সময় আছে। কেউ রেহাই পাবে না। দল করলে দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে।

সভায় আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কবি নির্মলেন্দু গুণ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শহীদ আলতাফ মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ, শহীদ বুদ্ধিজীবী আব্দুল আলিমের কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বেনজির আহমেদ, দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৪
এসকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।