খাগড়াছড়ি: রাঙ্গামাটির লংগদুতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) দুজনকে হত্যার ঘটনায় সন্তু লারমাকে দায়ী করেছে সংগঠনটি। নতুন করে সন্তু লারমা হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এমন অভিযোগ করেন সংগঠনটির রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা। একই সাথে এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
বিবৃতিতে ঘটনার বিবরণ দিয়ে নিরন চাকমা বলেন, আজ (শনিবার, ১৮ মে) সকাল সাড়ে ৮টার সময় লংগদুর বড়হাড়িকাবার ভালেদি ঘাটের পার্শ্ববর্তী স্থানে সন্তু গ্রুপের ৭ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী এসে সেখানে সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যা ধন চাকমা ওরফে তিলক (৪৫) ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা (৩৫) নিহত হন।
নিহত ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যাধন চাকমা লংগদু কুকিছড়া গ্রামের সময় মনি চাকমার ছেলে এবং অপরজন লংগদুর ধুধুকছড়া গ্রামের লেংগ্যা চাকমার ছেলে। হামলায় পোয়া চাকমা ওরফে আপন (৩২) নামে এক যুবক নেতৃত্ব দেন বলেও অভিযোগ করা হয়।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা এ ঘটনাকে কাপুরুষোচিত ও ন্যক্কারজনক উল্লেখ করে বলেন, ইউপিডিএফের নেতৃত্বে সিএইচটি রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যযন্ত্রসহ বান্দরবানে বম জাতিসত্তার ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সরকারের কৃপা লাভের আশায় সন্তু লারমা আবারও তার খুনি বাহিনীকে দিয়ে ইউপিডিএফের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হত্যাকাণ্ড শুরু করেছেন। তার নির্দেশে লংগদুতে ইউপিডিএফের এক কর্মী ও এক সমর্থককে হত্যা করা হয়েছে।
অবিলম্বে লংগদুতে ইউপিডিএফ কর্মী, সমর্থককে হত্যাকারী খুনি সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার এবং সন্তু লারমাকে গ্রেপ্তারপূর্বক আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান ইউপিডিএফ নেতা সচল চাকমা।
আরও পড়ুন:
রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ২ জনকে গুলি করে হত্যা
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২৪
এডি/এমজেএফ