গোপালগঞ্জ: প্রথম ধাপে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সময় পুলিশের ওপর হামলা মামলায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বি.এম মাহমুদ হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১ জুন) সকালে গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতাকে গোপালগঞ্জ আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
টুঙ্গিপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহমদ আলী বিশ্বাস গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বি.এম মাহমুদ হক টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও পাটগাতী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লায়েক আলী বিশ্বাসের ছেলে এবং টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সোলাইমান বিশ্বাসের ছোট ভাই।
পরিদর্শক আহমদ আলী বিশ্বাস বলেন, গত ৮ মে প্রথম ধাপে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী মাসুদুল হকের সমর্থকরা গিমাডাঙ্গা আইডিয়াল স্কুলকেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে ভোটগ্রহণ সাময়িক স্থগিত হয়।
এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে উপ-পরিদর্শক বদিয়ার রহমানের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে এবং তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
এছাড়া পাটগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পান্না শেখের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় উপ-পরিদর্শক বদিয়ার রহমান বাদী হয়ে টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি মামলা করেন।
পরে মামলাটির তদন্ত ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বি.এম মাহমুদ হকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো জানান, শনিবার সকালে পুলিশি পাহারায় গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতাকে গোপালগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে যু্বলীগ নেতা বি.এম মাহমুদ হকের চাচাতো ভাই এমদাদুল হক বিশ্বাস বলেন, আমার ভাই নিরাপরাধ। সে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়, তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি আমার ভাইয়ের মুক্তি দাবি করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২৪
জেএইচ