ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকারের নুন আনতে পান্তা ফুরায়: গয়েশ্বর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৪
সরকারের নুন আনতে পান্তা ফুরায়: গয়েশ্বর

ঢাকা: সরকারের নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

সোমবার (০৩ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইশরাক হোসেনের মুক্তির দাবিতে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপি ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের একটা লোকও মারা যাবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা বলে থাকেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে একদিনে দুই লাখ লোক মারা যাবে। আমি বলছি, বিএনপি ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের একজন লোকাও মারা যাবে না। কারণ, বিএনপি খুন, হামলার রাজনীতি করে না। আমরা বিশ্বাস করি, কেউ অপরাধ করলে, আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন সরকার ভর্তুকির নামে জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। এর সঙ্গে রয়েছে আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজি। এসবের প্রভাবও পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের ওপর। মানুষের কী কষ্ট! আর এই সরকার অর্থের অপচয় করে একেক সময় একেকটা ঘটনা ঘটায়।

বিএনপির মূল লক্ষ্য এই সরকারকে সরানো উল্লেখ করে তিনি বলেন, একবার আওয়ামী লীগ ভারতে পালিয়েছিল, আবারও পালাবে। দেশের মানুষ কিছু না বললেও পালাবে। কথা আছে- বনের বাঘে না খেলেও মনের বাঘে খায়।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৬ বছর ধরে কষ্ট করছেন, হয়ত আপনাদের আর কিছু দিন কষ্ট করতে হবে। এই আন্দোলন সফল হওয়া মানে গণতন্ত্র ফেরত পাওয়া, বাংলাদেশকে ফিরে পাওয়া। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

জনগণের ভোটে এখন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয় না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে পুলিশ ও কিছু এজেন্সি। এটা কি তাদের কাজ? তাদের কাজ কি গুমে সহযোগিতা করা, দাগী আসামিকে সীমান্ত পার করে দেওয়া? অবশ্যই নয়।

বেনজীরের দেশ ত্যাগের খবর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং ইমিগ্রেশনে যারা আছেন তারা অন্ধ না-কি বোবা, না পড়াশুনা জানে না? সব পত্রপত্রিকায় তো বেনজীরের খবর প্রকাশিত হয়েছে।  

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কথা বলতে বলতে তিনি এমন পর্যায়ে গেছেন, সুস্থ না-কি অসুস্থ বোঝা যাচ্ছে না। চালাক মানুষ মনে করে তিনি ছাড়া অন্য কেউ কিছু বোঝে না; ওবায়দুল কাদেরও তাই ভাবেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে পুলিশ- এমন মন্তব্য করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এখন খবরের কাগজ খুললে বেনজীর ও ভারতে খুন হওয়া সংসদ সদস্য আনারের খবর। এমপি আনারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, সেইসঙ্গে বলব- স্বর্ণ পাচারের সঙ্গে তিনি যদি জড়িত হন, তাহলে সেই বিচারটাও জনসম্মুখে হওয়া উচিত। ভারতের কারা এই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সেটাও বের করা উচিত।

সরকারের নুন আনতে পান্তা ফুরায় বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর। তিনি বলেন, দেশের অবস্থা ভালো নেই। সরকার একটি ঘটনার পর আরেকটি ঘটনাকে সামনে আনে। এই সরকার একেকটি ঘটনা ঘটিয়ে নাটক সৃষ্টি করে। আজিজ, বেনজীর, আনার জনগণের দৃষ্টি অন্যত্র নেওয়ার চেষ্টা। তাদের দুর্বলতা ঢাকার জন্য। এই নিয়ে যদি আমরা ব্যস্ত থাকি, তাহলে কপালে হাত দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২৪
টিএ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।