ঢাকা: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত শত শহীদের রক্তস্নাত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিজয়কে অভিনন্দিত করেছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কামরূল আহসান পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, দেশত্যাগ ও কর্তৃত্ববাদী শাসন অবসানের মধ্য দিয়ে সকল ধরনের বৈষম্য নিরসন ও স্বাধীনতার ঘোষণার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার পথ আরেকবার উন্মোচিত হলো।
বিবৃতিতে বলা হয়, অতীতেও দক্ষিণপন্থা ও সাম্রাজ্যবাদের অনুগামী শক্তি একই ধরনের কর্তৃত্ববাদী শাসন, অসাম্য ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠা করে জনগণের পরিবর্তনের আকাঙ্খাকে ধ্বংস করেছিল। এবারও ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের বিজয়ের সুযোগে সেই একই শক্তি সারাদেশে ওয়ার্কার্স পার্টিসহ রাজনৈতিক দলের অফিস, বাসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুট, সরকারি স্থাপনাগুলোর ধ্বংস সাধন, থানা লুট ও পুলিশ সদস্যদের হত্যা এবং বিশেষ করে সংখ্যালঘু সনাতন ধর্মালম্বী ও আহমেদিয়াদের বাড়িঘর, উপসনা প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ পরিচালনা করছে। সহায় সম্পদ লুট করছে ও জমি-জিরাত বাসস্থান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সেনা প্রধান আইনশৃংখলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর ভূমিকার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিলেও কোথায় সেটা লক্ষ্য করা যায় না। এ অবস্থায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিজয় যাতে লক্ষ্যভ্রষ্ট না হয় তার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বকে সজাগ ও সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি। ওয়ার্কার্স পার্টি একই সঙ্গে নৈরাজ্য দূর করা, হত্যা-হামলা-ভাংচুর বন্ধ করা, বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ বন্ধ ও সমাজে শান্তি-শৃংঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সব বাম প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী শক্তির প্রতি ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২৪
এমআইএইচ/জেএইচ