ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩১, ১৬ আগস্ট ২০২৪, ১০ সফর ১৪৪৬

রাজনীতি

নোয়াখালী পৌরসভা কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর

ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৪
নোয়াখালী পৌরসভা কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর

নোয়াখালী: নোয়াখালী পৌরসভা কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খান সোহেল পৌরসভা কার্যালয়ে ছিলেন না।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর হাসপাতাল রোডে অবস্থিত পৌরসভা কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।  

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ায় পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই দিনের কাজ শেষ করে কর্মস্থল ছাড়েন। এ মন সময় দেখেন ১৫-১৬ জনের একদল যুবক পৌরসভা ভবনের দ্বিতীয় তলায় মেয়রের কক্ষের সামনের ভাঙচুর চালায়।

হামলাকারীরা মেয়রের কক্ষের দুইটি জানালা এবং নিচ তলার সিঁড়ির পাশের ডিজিটাল সেন্টারের একটি জানালা ভাঙচুর করেন। এছাড়া ভাঙচুর করেন দুইটি সিসিটিভির ক্যামেরা। অল্পকিছু সময়ের মধ্যে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ছাড়েন।

মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল জানান, হামলার ঘটনার অল্প কিছুক্ষণ আগে তিনি কার্যালয় থেকে বেরিয়েছেন। হামলাকারীরা তার কক্ষের দুইটি জানালাসহ চারটি জানালার কাঁচ ভাঙচুর করেছে। এছাড়া দুইটি সিসিটিভির ক্যামেরাও ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছেন।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান জানান, পৌরসভার হামলার ঘটনায় বিএনপির দলীয় কেউ জড়িত ছিল না। তিনি এ হামলার জন্য জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ আজাদ ও তার অনুসারীরা ওই হামলার ঘটনায় জড়িত বলে মন্তব্য করেন। আজাদ আন্দোলন সংগ্রামের সময় ছিল না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।  

অভিযোগের বিষয়ে জানতে হারুনুর রশিদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।  তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  

সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান জানান, তিনি পৌরসভা কার্যালয়ে হামলার কথা শুনেছেন। পুলিশ পাঠিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেবেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।