ঢাকা, বুধবার, ৩ পৌষ ১৪৩১, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ভারতের উচিত হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া: মোস্তফা হায়দার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
ভারতের উচিত হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া: মোস্তফা হায়দার

ঢাকা: স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখে বাংলাদেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। তিনি বাংলাদেশের বিতাড়িত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের ফিরিয়ে দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ ভারতের আগ্রাসী বক্তব্যের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, আমাদের ভূখণ্ডে কোনোভাবেই অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হোক, সেটা আমরা চাই না। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। আমরা আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে, সার্বভৌমত্বের অক্ষুণ্নতা নিয়ে আগামী দিনে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে পথ চলতে চাই। ভারতের উচিত হবে বাংলাদেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বিতাড়িত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া। আমাদের সীমান্তের সমস্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করা।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের গত এক মাসের কার্যকলাপের মধ্যে সবচেয়ে প্রধান ভূমিকা হলো আমাদের দেশের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি পরিত্যাগ করে স্বাধীন সার্বভৌম একটি পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং খুব ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ভারত আমাদের দেশের বিতাড়িত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয় দিয়ে আমাদের সাথে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করেনি। ভারতকে আমরা আজও বন্ধু হিসেবে গণ্য করতে চাই। কিন্তু তাদের থেকে কোনো অবন্ধু সুলভ আচরণ সহ্য করতে পারি না। আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এই কথাগুলো বলেছেন। সেই কারণে রাজনাথ সিং এত ক্ষুব্ধ!

মোস্তফা হায়দার আরও বলেন, বাংলাদেশের চারদিকে আজ একটি অশান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, অরুণাচলে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, ভারত যদি তার পরিস্থিতি পরিবর্তন না করে তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কি নেমে আসবে সেটা আমরা জানি না। অরুণাচল প্রদেশে ইতিমধ্যে ৬০ কিলোমিটার ভেতরে আরেকটি রাষ্ট্রের সৈন্যবাহিনী ইতিমধ্যে ঢুকে গেছে।

বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদিন ফারুক বলেন, জনগণ দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নির্যাতন, নিপীড়ন সহ্য করেছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। এখন দেশে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা দরকার।

বিতাড়িত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ায় ভারতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের সহযোগিতা করেছেন এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু এতো বিপুল সংখ্যক মানুষকে হত্যাকারী শেখ হাসিনাকে আপনারা আশ্রয় দিয়েছেন, তাকে অচিরেই দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। কেন আশ্রয় দেওয়া হয়েছে তার জবাবও দিতে হবে।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র এবং এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন শামসুদ্দিন পারভেজ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
এসসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।