ইসরাইলের অভ্যন্তরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র আন্দোলন হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে তারা প্রথমবারের মতো, দক্ষিণ ইসরাইলের আশদোদ নৌ ঘাঁটিতে এক ঝাঁক ড্রোনসহ বিমান হামলা শুরু করেছে।
পরে আরেক বিবৃতিতে তারা জানায়, তেল আবিবের এক সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যারেজ এবং ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৩৫০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। এ অবস্থায় করণীয় কি হয়ত বুঝতেই পারছে না ইসরায়েল সরকার।
এর মধ্যেই দুই পক্ষের যুদ্ধ বিরতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় লেবানন-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পথে এমন খবরও চাউর হয়। কিন্তু ডেভিড আজৌল নামে এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা মনে করেন-লেবাননে যুদ্ধবিরতির অর্থ হবে ইসরায়েলের আত্মসমর্পণ।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, ডেভিড আজৌল ইসরায়েলি মেটুলা কাউন্সিলের প্রধান। তিনি দেশটির আর্মি রেডিওকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এ কথাটি বলেছেন।
ডেভিড আরও বলেছেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিরাপদ হবে না।
গত বেশ কয়েকদিনের পরিস্থিতি বিবেচনায় ইসরায়েলি সরকারকে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন ডেভিড। তিনি বলেন, আমি বুঝতে পারছি না কীভাবে একটি সম্পূর্ণ ডানপন্থী সরকার এভাবে হিজবুল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করতে সক্ষম হয়।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি চুক্তির কাছাকাছি আসছে। কিন্তু এ আদৌ সম্ভব কিনা সেটাও প্রশ্ন।
সম্ভাব্য চুক্তির অধীনে লেবাননের বেসামরিক বাসিন্দারা দক্ষিণ লেবাননে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামে ফিরে যেতে পারবে। ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননের কোনো ভূখণ্ড দখল করে রাখার পরিকল্পনা করছে না।
কিন্তু দেশটি বলেছে, তারা দক্ষিণ লেবাননে যেকোনো হিজবুল্লাহর উপস্থিতির বিরুদ্ধে কাজ করবে, সেটা হয় সরাসরি, কিংবা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে লেবাননের সেনাবাহিনীকে জানিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২৪
এমজে