ঢাকা: ঘোষিত তফসিলে উল্লেখিত ২৬৯ পৌরসভার মধ্যে ১১ টিতে নির্র্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে নির্বাচন হবে এমন তালিকায় নতুন করে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে চারটি পৌরসভাকে।
এর ফলে ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ২৬২ টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে কমিশন সচিবালয়ের সম্বেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদার সভাপতিত্বে দু’ নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনসহ কমিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্বাচন কমিশন (ইসি)’র কাছে ১৫টি পৌরসভা নির্বাচন স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়ে পাঠানো চিঠি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় যে পৌরসভাগুলোর নির্বাচন স্থগিতের অনুরোধ করে সেগুলো হচ্ছেÑ গাজীপুর সদর, রংপুর সদর, কুমিল্লা (আদর্শ), কুমিল্লা সদর (দক্ষিণ), নারায়ণগঞ্জ সদর, সিদ্ধিরগঞ্জ, টঙ্গী, কাঞ্চন, বাঘাইছড়ি-রাঙ্গামাটি, বোদা (পঞ্চগড়), কুষ্টিয়া সদর, নেত্রকোণার পূর্বধলা, নাটোরের বাঘাতিপাড়া, মাগুড়া এবং নড়াইলের লোহাগড়া।
চিঠিতে স্থগিতের কারণ হিসেবে বলা হয়, প্রথম সাতটি পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনের ভেতরে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। বাকি আটটি পৌরসভায় আইনি জটিলতা রয়েছে। এর মধ্যে টঙ্গী পৌরসভার মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি।
চিঠির বিষয় বিবেচনায় বোদা (পঞ্চগড়), রংপুর সদর, নাটোরের বাঘাতিপাড়া, নারায়ণগঞ্জ সদর, সিদ্ধিরগঞ্জ, কাঞ্চন, গাজীপুর সদর, নেত্রকোণার পূর্বধলা, কুমিল্লা (আদর্শ), কুমিল্লা সদর (দক্ষিণ) ও বাঘাইছড়ি-রাঙ্গামাটি পৌরসভায় নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এছাড়া বাকি চারটি পৌরসভায় নির্বাচন করা হবে।
সেই সঙ্গে মেহেরপুর, ফরিদপুর, শ্রীবর্দি ও মীরকাদিম পৌরসভায় নির্বাচন করা হবে বলে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার ঘোষিত তফসিলে এ চারটি পৌরসভা অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
সন্ধ্যায় বৈঠক শেষে গত সোমবার বিএনপির প্রতিনিধি দলের আপিল কর্তৃপক্ষ সংক্রান্ত আপত্তির জবাবে নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হুসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ব্যাপারে বিএনপির আপত্তি আমলে নেওয়ার সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন আইন মেনে সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। এটি অপরিবর্তনযোগ্য। ’
উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার নির্বাচন (পৌরসভা) নির্বাচন বিধিমালা ২০১০-এর ১৫ নং ধারার উপ-বিধি ৩ অনুযায়ী, ‘কমিশন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকগণকে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োগ করিবে। ’
শিগগিরই দু’ কমিশনার ও অতিরিক্ত সচিবরা পৌর নির্বাচন সংক্রান্ত বৈঠকের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে সফর শুরু করবেন বলেও জানান তিনি।
আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠক কাল
জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় পৌর নির্বাচনের বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে বুধবার বৈঠক হবে।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী (পৌর) মো. আব্দুল বাতেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়।
বুধবার বেলা তিনটায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠেয় এ বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ঢাকার প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহা পুলিশ পরিদর্শক, উপ পুলিশ পরিদর্শক (বিশেষ শাখা) এবং র্যাব, বিডিআর, কোস্টগার্ড, আনসার, এনএসআই ও ডিজিএফ মহাপরিচালকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮, ডিসেম্বর ০৭, ২০১০