ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লা আরও ১১ দিনের রিমান্ডে

আদালত প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১০
কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লা আরও ১১ দিনের রিমান্ডে

ঢাকা:  পল্টন ও রমনা থানার পৃথক ৪ টি মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা মো. কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লার আরও ১১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সেইসঙ্গে আদালত অপর আসামি শিবির নেতা মিয়া মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলামের পল্টন থানার ৩টি মামলায় ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক ড. আব্দুল মজিদ ও এসকে তোফায়েল হাসান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আসামিদের কড়া নিরাপত্তায় আদালতে উপস্থিত করা হয়। তাদের পক্ষে জামিনের আবেদন আদালত নামঞ্জুর করেন।   পল্টন থানার ৩টি মামলায় জামায়াত নেতা মো. কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লা এবং শিবির নেতা মিয়া মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলামকে ৮ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন মহানগর হাকিম আদালতের হাকিম ড. আব্দুল মজিদ।

অন্যদিকে, রাজধানীর মগবাজারে গাড়িতে আগুন দিয়ে যাত্রী হত্যা মামলায় কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লার ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম. বিডিকে জানান, কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লাকে ২টি মামলায় এক টানা ৮ দিন রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়।

চার মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা আলাদাভাবে ৩৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শাহআলম তালুকদার বলেন, ‘জামায়াত একটি সুসংগঠিত দল। যে কোনো কাজ করার আগে তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে নেয়। তারা তাদের ঊর্ধ্বতন নেতার নির্দেশ ছাড়া কোনো কাজ করে না। তাদের এ নির্দেশ চেইন অব কমান্ডের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের নেতাদের কাছে পৌঁছে। ’

তাই এসব ঘটনায় কারা কারা জড়িত, কারা এর নির্দেশদাতা তা জানার জন্য আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন তিনি।
আসামি পক্ষ রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন জানিয়ে অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আসামিদের মিথ্যা একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে সিরিজ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত নয়। ওই মামলাগুলোর প্রায় সব আসামি জামিনে আছে। তাদের গ্রেপ্তার করার পর কোনো রিমান্ড চাওয়া হয়নি। অথচ জামায়াত নেতাদের এজাহারে নাম না থাকা সত্ত্বেও একের পর এক রিমান্ডে নিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ’
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি কামরুল হাসান খান আসলাম আদালতকে জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুসরণ করে রিমান্ডে আসামিদের যথেষ্ট সম্মানের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, রিমান্ডে নেওয়া ৪টি মামলার ৩টি পল্টন থানার পুলিশের কর্তব্য-কাজে বাধাদান এবং রমনা থানার মামলাটি ২৭ জুন হরতালের আগের দিন গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা সংক্রান্ত। ওই ঘটনায় মারাত্মক আহত ফারুক ১ জুলাই ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে মারা যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।