রাজশাহী: জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের প্রতিবাদে দুদিনের ডাকা হরতালের প্রথম দিন বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে ঢিলেঢালাভাবে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হচ্ছে।
সকাল ৬টায় হরতাল শুরুর পর সাড়ে ৯টা পর্যন্ত হরতালের সমর্থনে মিছিল বা পিকেটিংয়ের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এছাড়া সহিংসতা এড়াতে সকাল থেকেই দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের টহল অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজশাহী মহানগরীর আলুপট্টি, কুমারপাড়া, সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, সোনাদীঘি মোড়, সদর হাসপাতাল মোড়, লক্ষ্মীপুর মোড়, তালাইমারী, গৌরহাঙ্গা রেলগেট, ভদ্রা স্মৃতি অম্লান মোড়, শালগান, সিটি বাইপাসসহ বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
অব্যাহত রয়েছে পুলিশ ও র্যাবের টহল।
জামায়াতের হরতালের কারণে ভাঙচুর ও নাশকতার আশঙ্কায় রাজশাহী থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। বন্ধ রয়েছে আন্তঃজেলা রুটের বাস চলাচলও। তবে বিভিন্ন সড়কে রিকশা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, হিউম্যান হলার, মিশুক ও টেম্পু, মাইক্রোবাসসহ সব হাল্কা যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
সকালে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন সিল্কসিটি ও খুলনাগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনসহ বিভিন্ন রুটের আন্তঃনগর এবং লোকাল মেইল ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, হরতালে মহানগরবাসীর নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হরতালের নামে কেউ সহিংসতার চেষ্টা করলে তাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে।
তবে সকাল থেকে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪