বগুড়া: মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশের প্রতিবাদে জামায়াতের ডাকা লাগাতার ৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিন বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বগুড়ার বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করেছেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।
হরতালকে ঘিরে তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও জামায়াত-শিবিরের ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জামায়াত সমর্থক ডা. আব্দুস সামাদ (৪০), বগুড়া আজিজুল হক কলেজ ছাত্রশিবির শাখার ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক জুলফিকার, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) শিবির সভাপতি সাজেদুর রহমান সজীব ও শিবির কর্মী জিল্লুর রহমানসহ জেলার শেরপুরে একজন, নন্দীগ্রামে দুইজন, কাহালুতে একজন, শাজাহানপুরে দুইজন ও শিবগঞ্জ থেকে একজনসহ মোট ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে, হরতালের সমর্থনে সকালে ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত শহরের খান্দার, সাবগ্রাম, উপশহর, গোদারপাড়া চারমাথাসহ জেলা সদরের কয়েকটি স্থানে ছোট আকারে ঝটিকা মিছিল জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
এছাড়া সাবগ্রাম বাইপাস এলাকায় গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে হরতালকারীরা। এ সময় সাবগ্রামে একটি এবং কামাড়গাড়ীতে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
তবে পুলিশি তৎপরতার কারণে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তারা।
হরতাল আতঙ্কে দোকানপাট ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কিছুটা কম খোলা থাকলেও শহরের ছোট ও মাঝারি ধরনের যান চলাচল ছিল বেশ খানিকটা স্বাভাবিক। তবে দূরপাল্লার পরিবহন শহর ছেড়ে যায়নি। ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। আদালতসহ অন্যান্য সরকারি অফিসগুলোতে লোক সমাগম কিছুটা কম থাকলেও কাজকর্ম ছিল অন্যান্য দিনের মতোই।
এ বিষয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার মোজাম্মল হক (পিপিএম) বাংলানিউজকে জানান, হরতালে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪