ঢাকা: ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৭তম জন্মদিন উদযাপন করছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
বাংলা, বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধীকার অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জন্ম নেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রথম প্রহর রোববার (৪ জানুয়ারি) রাত বারোটা এক মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল চত্বরে কাটা হয় বিশাল এক কেক। বিতরণ করা হয় মিষ্টি। সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হলেও এদিন পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী। তাই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর ৠালি একদিন এগিয়ে শনিবার ৩ জানুয়ারি সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শুরু করা হয়। ৠালি উদ্বোধন করে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ৠালির উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি বলেন, ছাত্রলীগকে তার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে হবে প্রতিটি নেতাকর্মীকে।
সকাল ৬টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৮টা ৩০মিনিটে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরস্থ প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
এছাড়া, বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলেরও আয়োজন করা হয়।
প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর ইতিহাসের ৫২, ৬২, ৬৬, ৬৯’র বিপুল বীরত্বের লড়াই, ৭১’র বিজয়, ৭৫’র ছিনতাই হয়ে যাওয়া বিজয় পুনরুদ্ধারের অবিরাম সংগ্রাম, ৮১’র ১৭ মে জাতির জ্যোতির্ময় প্রত্যাশার প্রত্যাবর্তন, ৮৩’র ছাত্র আন্দোলন, ৯০’র স্বৈরাচারবিরোধী তীব্র আন্দোলন শেষে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পর ও পুনঃবন্দিদশার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ- ছাত্রলীগের ইতিহাসের অন্যতম সাফল্যমণ্ডিত অধ্যায়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগের সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৫