গাজীপুর: কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি গাজীপুর বিএনপি। দলীয় কার্যালয় পুলিশের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় এবং নেতাকর্মী দেখলেই পুলিশি হয়রানির অভিযোগ তুলে সংঘটিত হতে পারছেন না বলে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানিয়ে যাচ্ছেন জেলার বিএনপির নেতারা।
শনিবার (৩ জানুয়ারি) রাতে গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও দপ্তরের দায়িত্বে থাকা মুখপাত্র ডা. মাজহারুল আলম মণ্ডল ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে এই অভিযোগ করেছেন।
ক্ষুদেবার্তায় বলা হয়, পুলিশ জেলা বিএনপির কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রেখেছে। কোনো নেতাকর্মীকে কাযালয়ে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। দেখা মাত্রই আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ। এছাড়া দিনে রাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ হানা দিচ্ছে। ফলে ৫ জানুয়ারি ঢাকার সমাবেশে যোগদানের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না।
শনিবার সারাদিনই গাজীপুর বিএনপি অফিসে পুলিশ মোতায়েন ছিল। দলীয় কাযালয়ে নেতাকর্মীরা প্রবেশ করতে পারেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাজীপুর জেলার ৬টি থানাসহ বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট কার্যালয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি। আটকের ভয়ে তারা দলীয় কার্যালয়ে আসছেন না। এছাড়া দলীয় কার্যালয় সার্বক্ষণিক পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকায় কার্যালয়গুলি ফাঁকা হয়ে আছে। জেলার টঙ্গী, শ্রীপুর. কালিয়াকৈর, কাপাসিয়া, কালিগঞ্জ থানা বিএনপি কার্যালয়ে একই অবস্থা বলে জানা গেছে।
কালিয়াকৈর পৌর সভার মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান বাংলানিউজের কাছে দাবি করেন, বিএনপি কোনো মিছিল বা সভা করতে পারছে না। পুলিশের ভয়ে তারা মাঠেও থাকতে পারছেন না। এই অবস্থায় ৫ তারিখে ঢাকায় যাওয়ার ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ঢাকার সমাবেশ সফল করতে তারা প্রস্তুত হচ্ছেন বলে জানান ওই নেতা।
গাজীপুর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি সফল করতে সাংগঠনিক কাজ করা যাচ্ছে না। অফিস ও বাড়ি দু’টিই পুলিশের নজরে। ৫ তারিখ কী হবে বা কীভাবে কমসূচি সফল হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়।
এ সকল বিষয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মো. হারুনর রশীদ বলেন, গণহারে আটক বা গ্রেফতারের প্রশ্নই আসে না। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ যা করা দরকার তাই করছে। বিএনপির পুলিশি হয়রানির অভিযোগ করলে তা ভিত্তিহীন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৫