ময়মনসিংহ: সোমবার (৫ জানুয়ারি) নিজ দলের ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’র কর্মসূচি নিয়ে অজ্ঞতায় রয়েছেন সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ.কে.এম.মোশাররফ হোসেন। কখন, কার উদ্যোগে কর্মসূচি- এ নিয়ে কোন তথ্য নেই ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির এ সভাপতির কাছে।
তবে দলটির সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ জানিয়েছেন, সোমবার দুপুরে শহরের হরিকিশোর রায় রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে গণজমায়েত হবে। সাবেক প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। হাইভোল্টেজের এ কর্মসূচিকে ঘিরে জোটের প্রধান এ দলটির মধ্যকার শত্রু শত্রু খেলায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের নেতাদের কপালে।
৫ জানুয়ারির কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে রোববার (৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে যোগাযোগ করা হয় সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ.কে.এম.মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে। ক’টায় আপনাদের কর্মসূচি, এ প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমার ঠিক জানা নেই। যখন বলবে, তখন যাবো।
পরক্ষণেই আবার বলেন, কর্মসূচির শিডিউল এখনো নির্ধারণ হয়নি। আমার ধারণা, সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে প্রতিবাদ সমাবেশ হবে। আর এ সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। আমরা দুর্বল নয়। আমরা অশান্তি চাই না।
তিনি শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল আলমের সঙ্গে কর্মসূচির টাইম ফ্রেম নিয়ে কথা বলারও অনুরোধ করেন।
দলীয় সভাপতির এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মুঠোফোনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ বলেন, রোববার দক্ষিণ জেলা বিএনপির জরুরি সভায় ৫ জানুয়ারি দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে গণজমায়েতের সিদ্ধান্ত হয়। এ সভায় সভাপতিত্ব করেছেন মোশাররফ হোসেন। কর্মসূচির শিডিউল সম্পর্কে তিনি অবগত।
এ ব্যাপারে শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল আলম বলেন, দুপুর ২টায় দলীয় কার্যালয় চত্বরেই আমাদের গণজমায়েত। সাবেক প্রতিমন্ত্রী তো এটা জানেন। তিনি এখন হয়তো ভুলে যেতে পারেন।
এ কর্মসূচি দলভিত্তিক না জোটভিত্তিক এ নিয়েও রয়েছে বিভ্রান্তি। বিএনপি নেতারা বলছেন তাদের উদ্যোগে আর জামায়াত বলছে ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে এ গণজমায়েত কর্মসূচি।
এসবের পাশাপাশি দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র দু’পক্ষের মধ্যকার তুঙ্গে থাকা বিরোধ নিয়েও চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে জামায়াত। ফলে সমাবেশকে ঘিরে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি দলটি।
৫ জানুয়ারির সমাবেশ নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জেলা জামায়াতের দায়িত্বশীল এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, বিএনপি‘র অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। নিজেদের মধ্যেই ওদের যত কোন্দল। দলের ভেতরে শত্রু শত্রু এ খেলা নিয়ে আমরা চিন্তিত।
যোগাযোগ করা হলে ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মোজাম্মেল হক জানান, শোডাউন না খণ্ড খণ্ড ভাগে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যাবো, এ ফাইনাল সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৫