ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

রংপুরে বাসে পেট্রোলবোমায় শিশুসহ নিহত ৪, আটক ৮

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫
রংপুরে বাসে পেট্রোলবোমায় শিশুসহ নিহত ৪, আটক ৮ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রংপুর: রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় বাসে পেট্রোলবোমা হামলায় ৪ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একটি শিশু রয়েছে।

আহতদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা গুরুতর।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাত দুইটার দিকে ঢাকাগামী বাসটি উপজেলার বাতাসন গ্রাম এলাকায় পৌঁছলে এ হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।  

এ ঘটনার পরপরই রাতে বাতাসন গ্রামে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৮ জনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা জামায়াত-শিবিরের কর্মী। এদের মধ্যে অন্তত দুইজন বোমা হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে তাদের নাম জানানো হয়নি। অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে রাতে বাংলানিউজকে জানায় পুলিশ।  

রংপুরের পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে পুলিশ ও বিজিবি প্রহরায় ঢাকাগামী বাসটি বাতাসন এল‍াকায় যাত্রী উঠানোর জন্য থামলে পাশের বাঁশঝাড়ে ওঁতপেতে থাকা জামায়াত শিবিরের কর্মীরা গাড়িটিতে পরপর কয়েকটি পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে। এতে পুরো গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। এসময় শিশুসহ ৪ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হন। এদের মধ্যে ১০জন গুরুত্বর অগ্নিদগ্ধ হন।

অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে সেনাসদস্য নূর আলমের স্ত্রী ও কন্যাও রয়েছেন। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইস) পাঠানো হয়েছে।

মারাত্মকভাবে দগ্ধ অন্যদের রংপুর মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।


বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নেওয়াদের মধ্যে ১০জন একই পরিবারের সদস্য। তারা হলেন, ফারজানা, আনোয়ার, আলামিন, শামিম, রাশেদা, মিনারা, জরিনা, নুরজাহান, তফিরন বেওয়া।

তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য এবং তাদের বয়স ৩০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে বলে জানিয়েছেন গাড়িতে থ‍াকা ওই পরিবারের সদস্য আফসানা মিমি।

বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক আবদুর রাজ্জাক জানান, দগ্ধদের মধ্যে ৭জনের অবস্থা গুরুতর। এদের অনেকের শরীরের ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে।

এছাড়া দু’জনের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

ওই গাড়ির যাত্রী মোমেনা জানান, গাড়িটি সিএনজিচালিত হওয়ায় পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গে পুরো গাড়িতে ধরে যায়। এসময় দরজা বন্ধ থাকায় ভেঙে বের হতে হয়েছে। দরজা খোলা থাকলে এবং গাড়িটি সিএনজিচালিত না হলে হতাহত কম হতো।  

মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান,  এ ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি এড়াতে মিঠাপুকুর উপজেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে পুলিশ। তবে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল অব্যাহত রয়েছে।
 
নিহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।  

রংপুর বিভাগীয় কমিশনার দিলুয়ার বখত জানান, এ ঘটনায় রংপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবণতি হয়নি। কারণ এটা চোরাগোপ্তা হামলা।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫/ আপডেট: ১১০০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।