বগুড়া: বগুড়ার জিরো পয়েন্ট সাতমাথাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে কমপক্ষে ১৫টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে রাত সোয়া ৮টা পর্যন্ত এ ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে।
তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে শহরের কেন্দ্রস্থল গোহাইল রোড সংযোগ সড়ক সাতমাথায় পরপর ৪টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আতঙ্কে লোকজন ছুটোছুটি শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যেই স্থান ত্যাগ করে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী, বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাঠ। এর আগে সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত বাদুরতলা সড়কের দুই নম্বর রেলঘুন্টি, বড়গোলা, সেউজগাড়ি, ইয়াকুবিয়া মোড়, সেউজগাড়ি ও রেলগেট ৩ মাথা মোড়ে কমপক্ষে ১৫টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার জানান, ককটেল বিস্ফোরণে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এর আগে রাজশাহীর ৮ জেলায় ডাকা ৩৬ ঘণ্টার হরতালের সমর্থনে সকালে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াত।
উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুস ছালাম চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে মিছিল চলাকালে উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাস্টার আব্দুর রহিম, জামায়াত নেতা আব্দুল লতিফ প্রামাণিক, সেক্রেটারি হাসান আলী মণ্ডল, সহ-সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল লতিফ বাবু, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা শাহাদৎ হোসেন, আব্দুর রশিদ, আনোয়ার হোসেন, শহিদুল ইসলাম, ডা. রেজাউল করিম, জামায়াত নেতা আলাউদ্দিন, মাওলানা আব্দুস সালাম, মাওলানা আতিকুর রহমান, মাওলানা শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে জানান, মিছিলটি বেশি সময় ধরে করতে পারেনি তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫