ঢাকা, বুধবার, ০ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

রোববার থেকে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি, শনিব‍ার বিক্ষোভ

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৫
রোববার থেকে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি, শনিব‍ার বিক্ষোভ

ঢাকা: শনিবারের (১৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে দাবি না মানা হলে রোববার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে চলমান অবরোধের সঙ্গে হরতালসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দেবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। তার আগে শনিব‍ার দেশের সব থানা, উপজেলা, পৌরসভা ও জেলা সদরে এবং সব মহানগরের প্রতি ওয়ার্ডে বিক্ষোভ মিছিল করবে তারা।



সপ্তাহব্যাপী হরতালের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তার এ ঘোষণার ফলে সপ্তাহের সব কর্মদিবসব্যাপী টানা হরতাল তৃতীয় সপ্তাহে গড়ানোর বাস্তবতা তৈরি হলো। চলতি সপ্তাহ ও এর আগের সপ্তাহের সব কর্মদিবসেই হরতাল পালন করে ২০ দলীয় জোট। কেবল শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় হরতাল করেনি তারা। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে কার্যত ফের রোববার থেকে টানা হরতাল শুরুরই আওয়াজ দিলেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ।

সরকারের ক্ষমতার সূর্য অস্তমিতপ্রায় দাবি করে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ঔদ্ধত্য ভঙ্গিতে ঘোষণা দিয়েছেন যে, প্রয়োজনে বিএনপিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা ইতোপূর্বে অনেকবার দিয়েছে। আওয়ামী মন্ত্রী-নেতারা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তাব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে আরও ঔদ্ধত্য, অসংযত ও লাগামহীন আচরণে লিপ্ত। এ জাতীয় বাক্যবাণ জোয়ারের লক্ষণ নয়, ক্ষমতার ভাটার টান।

তিনি বলেন, বাকশালী কায়দায় সকল সংবাদপত্র ও মিডিয়া বন্ধ করে দিয়ে তার পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেও তিনি তৃপ্ত হতে পারবেন বলে মনে হয় না।

আওয়ামী লীগ প্রতিনিয়ত বিএনপিকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করার বিরামহীন ‘অপচেষ্টা ও অপপ্রচার’ চালিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে প্রতিদিন সুপরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তদের দিয়ে সহিংসতা ও পেট্রোল বোমার নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের সহানুভুতি আদায়ের নিস্ফল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

বিএনপি নেতাকর্মীদের জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দবি করে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ জাতীয় সকল ঘটনার প্রতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং এসব ঘটনার নিন্দা, প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

সরকারি বাহিনীর লোকেরা বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে রাতের খাবার ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে অভিযোগ তোলে বিএনপির এ যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া এবং তার কার্যালয়ে অবস্থানরত সবাই এখনও অভুক্ত অবস্থায় আছেন। ভাতে মারার আর পানিতে মারার নীতি অবলম্বন করে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে, টেলিফোন, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট ক্যাবলসহ সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে শেখ হাসিনা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে ‘হত্যার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন’।

তিনি আরও অভিযোগ তোলেন, জলকামান, বালির ট্রাক, মরিচের স্প্রেসহ সকল ঘৃণ্য কায়দায় নির্যাতন প্রচেষ্টা সত্ত্বেও জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে খালেদা জিয়াকে একচুলও সরাতে ব্যর্থ হয়ে শেষতক ইতিহাসের জঘণ্যতম বর্বর ও হীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে সরকার সারাবিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সম্মানকে ভুলুণ্ঠিত করছে।

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলেও বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৫/আপডেট ১৭৩৩ ঘণ্টা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।