ঢাকা: সংলাপের উদ্যোক্তারা নিজেদের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বস্ততা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
শুক্রবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপিকে নাশকতা বন্ধ এবং জামায়াত-শিবিরকে ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, তা না হলে এই বর্বরতার বিরুদ্ধে সারা দেশের মানুষের জাগরণ তৈরি করে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, যারা মধ্যস্থতা করার জন্য আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছেন, তাদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে ও বিশ্বস্ততা অর্জন করতে হবে। আমার মনে হয়, তারা সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের আগে বলতে হতো, সন্ত্রাস ও নাশকতা বন্ধ করতে হবে। কিন্তু তারা কেউই সেটা বলেননি। এটা না বলে তারা সংলাপের কথা বলেছেন। এতে সমতল ভূমি তৈরি হয়নি। তাদের মতো বিচক্ষণ লোকদের এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার আগে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার ছিলো।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত টেলিভিশন টক শো’তে এক বিশিষ্ট নাগরিকের দেওয়া বক্তব্যের (নাম উল্লেখ করেননি) প্রসঙ্গ টেনে বলেন, কারা নাশকতা করছে, এখন তা নিয়ে সন্দেহ, সংশয় প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। সহিংসতা জামায়াত-শিবির, বিএনপি, ছাত্র দল করছে -এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ করলে তো সংলাপ হবে না। তারা কর্মসূচি দিচ্ছে, নাশকতা করার নির্দেশ দিচ্ছে, তাদের লোকজন ধরা পড়ছে। তারা কর্মসূচি দিচ্ছে আর এটা সফল করার জন্য আওয়ামী লীগ নাশকতা করছে, সেটাতো হয় না। সহিংসতা বন্ধ না করে বিশ্বের কোথাও কোনো আন্দোলন এগোয়নি, বিএনপিও এগুতে পারবে না।
তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনীতি করতে হলে জামায়াত-শিবিরকে ছাড়তে হবে। সহিংসতার জনক জামায়াত। জামায়াত বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়। জামায়াতের এজেন্ডা নিয়ে তো আপনারা আগাতে পারবেন না। যতটুকু আগাতে পারবেন, সেটা দেশকে ধ্বংস করার পথে। এতে আপনি (খালেদা জিয়া) জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছেন। আপনার দলের নেতাকর্মীদের থেকেও বিচ্ছিন্ন হচ্ছেন। আপনার দলের নেতাকর্মীরাও এটা চায় না।
খালেদা জিয়াকে নাশকতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, এই নাশকতা, ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করেন। তা না হলে জনগণ যে প্রতিরোধ শুরু করেছে, গণধোলাই দিচ্ছে -এটা আরও জোরালো হবে। সারা দেশের মানুষকে আমরা জাগিয়ে তুলে এই পৈচাশিকতা, বর্বতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।
সংগঠনের নেতা খন্দকার ড. ইমদাদুল হক সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন হুমায়ুন কবীর মিজি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৫