ঢাকা: বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়ে ঢাকায় ১০ জন লোকও জড়ো করতে পারেননি খালেদা জিয়া। এ ব্যর্থতায় দায়ে তাকে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ২০ দলয় জোটের নেত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ এমপি।
শনিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ পরামর্শ দেন। চলমান বিএনপির হিংসাত্মক কার্যকলাপের প্রতিবাদে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা পরিষদ।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে জনগণের প্রত্যাশা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মনে যেন মানুষের জন্য হিংসার বদলে ভালোবাসা জাগ্রত হয়। জনগণ আপনার কাছে দেশের মানুষ প্রত্যাশা করছে, আপনি নৈরাজ্য ও পেট্রোল বোমার রাজনীতি পরিহার করবেন এবং আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যার দায় স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির ধারায় ফিরে আসবেন।
খালেদা বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের প্রধান সমস্যা। খালেদাকে ছাড়লেই বিএনপি মানুষের কাছে যেতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নাগরিক সমাজের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, দয়া করে সংলাপের কথা বলবেন না। আপনারা বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কথা বলে তাদেরকে সন্ত্রাসে উৎসাহ যোগাচ্ছেন। বরং বিএনপির এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা সংলাপের কথা বলছেন তারা সংলাপের কথা বলে প্রকারান্তরে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকারী ও দুষ্কৃতিকারীদের উৎসাহ দিচ্ছেন। যারা দেশেকে জ্বালিয়ে দিতে চায়, আপনারা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য সরকারকে আহবান জানাচ্ছেন। আপনাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, পৃথিবীর কোথাও সন্ত্রাসী, জঙ্গি, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের সঙ্গে আলোচনা হয় না, তাদের দমন করা হয়। যদি সত্যিকার অর্থেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখতে চান তাহলে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকারী, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন, প্রতিবাদমুখর হোন।
২০১৯ সালের আগে তাদের নির্বাচনের আশা পূরণ হবে না বলেও মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি হরতাল-অবরোধের পরে এখন নতুন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে। ডাক্তাররা যেমন এক ওষুধে কাজ না করলে অন্য ওষুধ দেন, বিএনপি-জামায়াতও এখন তাই করছে। বিএনপি অযৌক্তিক হরতাল-অবরোধ ডেকে, নাশকতা সৃষ্টি করে মানুষকে অবরুদ্ধ করে রাখতে চেয়েছিল। এসব করতে গিয়ে বিএনপিকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপি এখন জনবিচ্ছিন্ন একটি দল। আর তাদের এ শোচনীয় অবস্থার জন্য খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দায়ী।
আওয়ামী লীগের এ প্রচার সম্পাদক আরো বলেন, দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে দেশের সর্বস্তরের জনগণ রাজপথে নেমে এসেছে। যেখানেই পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকারী ও নাশকতাকারী ধরা পড়ছে সেখানেই জনগণের প্রতিরোধের মুখে পড়ছে। কিছুদিন পরে এদের পৃষ্ঠপোষকতাকারী বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরাও জনগণের গণপিটুনির শিকার হবেন।
সংগঠনের উপদেষ্টা হাসিবুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক কামরুল হাসান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সংগঠনের সভাপতি মো. জিন্নাত আলী জিন্না, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫