শেরপুর (বগুড়া): বগুড়ার শেরপুরে শিবিরের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি ছাত্রবাস থেকে ১০টি তাজা পেট্রোল বোমাসহ দুই শিবির কর্মীকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
এসময় এই ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল সংখ্যক জিহাদী বইপুস্তক, সিডি ও গোপন নথিপত্র উদ্ধার করে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।
রোববার (১৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার হামছায়াপুর গ্রামে অবস্থিত জনৈক মো. রইছ উদ্দিনের মালিকানাধীন ছাত্রাবাস হিসেবে ভাড়া দেওয়া বাড়িসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে জেলার আরডিসি (রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন আকতার, শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ.কে.এম সরোয়ার জাহান, বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি বি-সার্কেল) উজ্জ্বল কুমার রায়সহ পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ হাশমী বাংলানিউজকে জানান, সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ধুনটমোড়, হামছায়াপুর ও কাঠালতলা এলাকায় শিবির কর্মীরা ৮-১০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে।
এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ২০ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে রানা আহম্মেদ (২০) নামে এক শিবির কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। সে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের বাগড়া চকপোতা গ্রামের খলিল প্রামাণিকের ছেলে।
এ ঘটনার পর থেকে যৌথবাহিনী হামছায়াপুর এলাকায় অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে ইসলামী ছাত্র শিবিরের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি ছাত্রবাস থেকে ১০টি তাজা পেট্রোল বোমাসহ অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করে।
এসময় খন্দকারটোলা গ্রামের জেল হোসেনের ছেলে মিলন সেখ (২৫) ও একইগ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রবিউল করিম (২২)কে আটক করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫